জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ গোলাম নবী আলমগীর জানান, তাদের অফিস বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ঘিরে রাখেন। তাই তারা কেউ রাস্তায় বের হতে পারেননি।
এদিকে, সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের বৃহস্পতিবারের মাববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির যুগ্ম সদস্য সচিব মাওলানা মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাদের ৬ দফা দাবি নিয়ে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এটি চলমান আছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক আহত মুসল্লিদের চিকিৎসার জন্য আমাদের কাছে এক লাখ টাকা দিয়েছেন। প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসার খরচ দিতে চেয়েছেন জেলা প্রশাসক। নিহত পরিবারের জন্য আমরা মুসলিম ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ চেয়েছি। তবে জেলা প্রশাসক সম্মানজনক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেছেন।’
মিজানুর রহমান বলেন, ‘ভোলার এসপি ও বোরহানউদ্দিনের ওসিকে অপসারণ দাবির মধ্যে জেলা প্রশাসক ওসি প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এসপিকে প্রত্যাহারের দাবির ব্যাপারে তদন্তে সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি দোষী হলে তাকেও প্রত্যাহার করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।’
ঐক্য পরিষদের এই নেতা আরও বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো মানা হোক বা না হোক শুক্রবার বিকালে ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে নিহতদের স্মরণে আমরা দোয়া মাহফিল করবো।’
এদিকে, বুধবার বিকালে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ডিআইজি শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি বলেন, ‘গত ২০ তারিখ যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক মামলা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করলেও তা ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করেছে। ভোলা সদর ও বোরহানউদ্দিনে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বোরহানউদ্দিন থানায় গিয়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে আমি আলোচনা করেছি। এখানে সমাবেশটা শান্তিপূর্ণ ছিল। তাবে কিছু দুষ্কৃতিকারী লোক ঢুকে পড়েছিল। আমরা তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।’
উল্লেখ্য, বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামে এক যুবকের ফেসবুক মেসেঞ্জার থেকে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কথিত কটূক্তির স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে গত রবিবার (২০ অক্টোবর) বোরহানউদ্দিনে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে চারজন নিহত ও শতাধিক আহত হন।