ভোলায় ৩ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

একটি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষজন (ছবি– প্রতিনিধি)

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল-আতঙ্কে ভোলার তিন লাখ ২৩ হাজার ৬৩৭ জন মানুষ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে সাত উপজেলার ৪০টি চরের আড়াই লাখ মানুষ রয়েছেন। জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার তিন লাখ ২৩ হাজার ৬৩৭ জন মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। জেলার জনবসতিপূর্ণ ৪০টি চরের আড়াই লাখ মানুষকেও আশ্রয়কেন্দ্রে আনার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার ৬৬৮টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিন লাখ ২৩ হাজার ৬৩৭ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৪৬ হাজার ২৬০ জন, দৌলতখান উপজেলার ৩৫ হাজার ৪২০ জন, বোরহানউদ্দিন উপজেলার ৩৩ হাজার ৩২০ জন, লালমোহন উপজেলার ৪৮ হাজার ৩৯০ জন, তজুমদ্দিন উপজেলার ৫৪ হাজার ২১৫ জন, চরফ্যাশন উপজেলার ৬৫ হাজার ৩১০ জন এবং মনপুরা উপজেলার ৪০ হাজার ৭৩২ জন মানুষ রয়েছেন।

জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) উপ-পরিচালক সাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, ‘সিপিবির ৬৮০টি ইউনিটে ৩টি করে সংকেত পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ইউনিটের আওতায় ২-৩ হাজার মানুষের বসবাস। উপকূলজুড়ে সাধারণ জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য হ্যান্ড-সাইরেন ও মেগা-ফোনের মাধ্যমে আহ্বান জানানো হচ্ছে। এ ছাড়া, বিভিন্ন মসজিদের মাইকেও প্রচার চালানো হচ্ছে নিরাপদে থাকার জন্য। গতরাত থেকেই মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করে মানুষজন।’