স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

বরিশালঅন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মাহমুদা আক্তার পাখিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামী কাওছারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একই আদেশে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়। আসামির কাছ থেকে ওই টাকা আদায় করে নিহতের পরিবারকে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন বিচারক।

আসামির অনুপস্থিতিতে বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকালে ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় ঘোষণা করেন। পাখি বরিশালের উজিরপুরের দোসতিনা গ্রামের বাসিন্দা।

ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি ফয়জুল হক ফয়েজ জানান, ২৫ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রী পাখির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল কাওসার। এরপর পাখির পরিবার থেকে কাওসারকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বাকি ৫ হাজার টাকার জন্য কাওসার স্ত্রীর ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। সবশেষ ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই ৫ হাজার টাকা শ্বশুরবাড়ির থেকে এনে দেওয়ার জন্য পাখির ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায় কাওসার। একপর্যায়ে পাখিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বোন ময়না বেগম ওই দিন অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী বানারীপাড়া থানার এসআই রুস্তুম আলী একমাত্র কাওসারকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন। ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক ওই রায় ঘোষণা করেন।

২০০৯ সালে পারিবারিকভাবে পাখি ও কাওসারের বিয়ে হয়। কাওছার বানারীপাড়ার মৃত মো. শহিদের ছেলে।