অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, সাত জনকে জেল-জরিমানা

01ঝালকাঠির রাজাপুরে পৃথক অভিযান চালিয়ে বিষখালি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে সাত জনকে অর্থদণ্ড ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুযারি) সকালে ৩ জনকে ১ বছর ও ১ জনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মো. সোহাগ হাওলাদার।
বালু উত্তোলনের দায়ে উপজেলার কৈবর্তখালী গ্রামের জলিল সিকদার (৪২), দক্ষিণ বড়ইয়া গ্রামের শুক্কুর খান (২৫) ও পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠী উপজেলার সোহাগদল গ্রামের মাহাবুব বাহাদুর (৩৯) ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরার দায়ে নলছিটি উপজেলার রাজাবাড়িয়া এলাকার শহীদ আকনকে (৫৫) সাজা দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের বিষখালী নদীতে অভিযান চালিয়ে তিন জন বালু শ্রমিককে বালু উত্তোলনের সময় আটক করা হয় এবং দুটি বালু উত্তোলনের ড্রেজার ও দুটি বালু বহনকারী ভলগেট জব্দ করা হয়।
অভিযান চলাকালে শহীদ আকন নামে এক জেলেকে নদীতে অবৈধ জাল ব্যবহার করে মাছ ধরার দায়ে আটক করা হয়। এ সময়ে নদী থেকে জব্দ করা তিন হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও এক হাজার মিটার সিনথেটিক নাইলন ফাইবারের তৈরি মনোফিলামেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়।
এছাড়াও বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের বাদুরতলা এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে তিন জনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন একই ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এরা হলেন- উপজেলার পুখরীজনা এলাকার জুলফিকার শরীফের ছেলে মো. রাজিব শরীফ (১৮), আবুবকর শরীফের ছেলে কামাল শরীফ (৪০) ও ঝালকাঠি দপদপিয়া গ্রামের মৃত আশ্রাব আলী হাংয়ের ছেলে জসিম হাওলাদার (৪০)।
এ ব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মো. সোহাগ হাওলাদার বলেন, যেহেতু বিষখালী নদী ঝালকাঠি জেলার ৫৫ কিলোমিটার অংশে কোনও বালু মহাল নেই কাজেই জেলার যেখান থেকেই বালু উত্তোলন করা হোক তাই অবৈধ। আমারা প্রতিনিয়ত এ অবৈধ কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছি। এর আগেও এই নদী থেকে বালু উত্তোলনকারীদের ধরে জেল জরিমানা করা হয়েছে। আজ জব্দ করা দুটি বালু উত্তোলনের ড্রেজার ও দুটি বালু বহনকারী ভলগেট আংশিক ধ্বংস করে নিলামে তোলা হবে। তবে এটা বন্ধ করতে হলে জনগণকে আরও সচেতন ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।