মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস জানান, দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমূল হুদা দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারা অনুযায়ী আটক ২ জনের প্রত্যেককে ১০ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় কামারপাড়া, শায়েস্তাবাদ ও মীরগঞ্জ সংলগ্ন আড়িয়াল খাঁ নদীতে ‘কম্বিং অপারেশন-২০২০’ অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বরিশালসহ উপকূলীয় ১৩ জেলায় মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি ও অন্যান্য অবৈধ জাল নির্মূলের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম ধাপে ৭ থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘কম্বিং অপারেশন-২০২০’ চালানো হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ২১ থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র বলেন, ‘অবৈধ জাল অবৈধপন্থায় আসে। তবে আমরা সোর্সের মাধ্যমে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তা জব্দ করে ধ্বংস করি। ইতোপূর্বে এ ধরনের বেশ কিছু চালান আটক করে তা ধ্বংস করা হয়েছে। এ অবৈধ জাল ঢাকাসহ অত্র অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় গোপনে তৈরি করে তা বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে বিভিন্নপন্থায় পাঠানো হয়। সেখান থেকে বিক্রেতা ও জেলেরা সংগ্রহ করেন। চরঘেরা জাল (মশারি জাল) সবচেয়ে ভয়ানক। কারণ নদীতে যখন ভাটা লাগে তখন বড় একটা এলাকা নিয়ে জাল নদীর তলদেশে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে ফেলে রাখা হয়। জোয়ার এলে খুঁটি গেড়ে জাল ওই খুঁটির সঙ্গে আটকে দেওয়া হয়। জোয়ার শেষে ওই জালে বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরা পড়ে। যা খাওয়া যায় তা জেলেরা নিয়ে যায়। বাকি জলজ প্রাণী মরে যায়।’