মিন্নির জামিন বাতিলের শুনানি ফের পেছালো

আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিবরগুনার আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ) হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন বাতিলের আবেদনের শুনানি ফের পিছিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত। এছাড়াও এই মামলায় দুই জন সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মিয়া রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী জামিন বাতিলের আবেদনের শুনানি ২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছেন।
মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, ‘গত ৮ জানুয়ারি মিন্নির জামিন বাতিলের জন্য আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর মিন্নির জামিন কেন বাতিল হবে না জানতে চেয়ে আসামিপক্ষকে কারণ দর্শাতে বলা হয়। গত ১৫ জানুয়ারি কারণ দর্শানোর নোটিশের লিখিত জবাব আদালতে দাখিল করা হয়। ওই দিন মিন্নির জামিন বাতিল আবেদনের শুনানির জন্য ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। রবিবার মিন্নির জামিন বাতিল আবেদনের শুনানির জন্য সময় চায় রাষ্ট্রপক্ষ। পরে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।’
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী মুজিবুল হক কিসলু বলেন, ‘রবিবার মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে তিন সাক্ষীর সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এক সাক্ষী সৌদি আরব থাকায় দু’জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। মিন্নির জামিন বাতিল আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ২ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।’
গত ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ভাগে বিভক্ত অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। একই সঙ্গে রিফাত হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
গত ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। অন্যদিকে গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত।
এ মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক। এছাড়া রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি ও অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি প্রিন্স মোল্লা উচ্চ আদালতের আদেশে এবং বরগুনার শিশু আদালতের আদেশে মারুফ মল্লিক, আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ, মো. নাজমুল হাসান এবং রাতুল শিকদার জয় জামিনে রয়েছে।