বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভোলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ঠিকাদাররা এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এ কমিশন না দেওয়ায় ওই সব উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগের প্রকৌশলীরা বুঝিয়ে দিচ্ছেন না বলেও জানানো হয়। এতে ঠিকাদাররা ই-টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ পেয়েও তা সঠিক সময়ে করতে পারছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঠিকাদার ও ভোলা জেলা অওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রুহুল আমিন কুট্টি । বক্তব্যে তিনি জানান, ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত ভোলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর থেকে (এলজিইডি) দুই উপজেলায় ১০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের কার্যাদেশ নিয়েও এখন পর্যন্ত কাজ শুরু করতে পারছেন না ঠিকাদাররা। জেলা অফিস থেকে কার্যাদেশ নিয়ে চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায় কাজ করতে গেলে স্থানীয় উপজেলা প্রকৌশলীরা ঠিকাদারদের কাজের সাইট বুঝিয়ে দিচ্ছেন না।
প্রকৌশলীরা ঠিকাদারদের বলছেন, স্থানীয় এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের কমিশনের টাকা পরিশোধ করে তার কাছ থেকে অনুমতি বা সবুজ ছাড়পত্র না আনলে কাজ শুরু করতে দেওয়া হবে না। এসব অভিযোগ তুলে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ভোলা জেলা এলজিইডি কার্যালয় প্রাঙ্গণে ঠিকাদাররা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
তবে সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘এসব অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। একটি পক্ষ আমার ইমেজ ক্ষুণ্ন করতে চাইছে।’
এ সময় ঠিকাদাররা এসব অন্যায় ও দুর্নীতির যথাযথ তদন্ত করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবিসহ তাদের উন্নয়ন কর্ম এলাকা বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে তারা ভোলা এলজিইডি অফিস ঘোরাও, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনসহ পাঁচ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ঠিকাদারদের মধ্যে মো. রুহুল আমিন কুট্টি, জুলফিকার জুয়েল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আবু সায়েম, আব্দুর রাজ্জাক, কাওসার হোসেন টুয়েল, আবিদুল আলম, ইলিয়াছ আহমেদসহ আওয়ামী লীগ দলীয় ভোলার প্রায় অর্ধশতাধিক ঠিকাদার উপস্থিত ছিলেন।