গ্রেফতার আবুল কালাম শৌলা গ্রামের ইউনুস আলী হাওলাদারের ছেলে। নিহত গৃহবধূ জেসমিন আক্তার দুই সন্তানের জননী। মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদুজ্জামান (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, ২০১৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর শৌলা গ্রামের আবুল কালাম যৌতুকের দাবিতে দুই সন্তানের মা জেসমিন আক্তারকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে পরিবারের স্বজনরা তাকে মঠবাড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে খুলনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে আহত গৃহবধূকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিতে চান স্বজনরা। তবে পথেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গৃহবধূর ছোটভাই সাইফুল হক দুলাল বাদী হয়ে আবুল কালামকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ মামলা তদন্ত শেষে আদালতে নিহত গৃহবধূর স্বামী আবুল কালামকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আবুল কালাম পলাতক। সে পুলিশ ও মামলা থেকে রেহাই পেতে গ্রাম ছেড়ে বরগুনার তালতলি উপজেলার কাজিরখাল গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করে নতুন ঘর সংসার পেতে আত্মগোপন করে। পরে ২০১৯ সালে ৩১ অক্টোবর পিরোজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী আবুল কালামের ফাঁসির আদেশ দেন।
ওসি মাসুদুজ্জামান আরও বলেন, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কালামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতে উপস্থিত করা হবে।