ছাত্রীকে আপত্তিকর ছবি পাঠানোয় শিক্ষক বহিষ্কার

অভিযুক্ত লিটনসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব ও আপত্তিকর ছবি পাঠানোয় বরগুনার এক কলেজ শিক্ষক বহিষ্কার হয়েছে। বহিষ্কৃত আশ্রাফুল হাসান লিটন বামনার বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। তিনি বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) কলেজ কর্তৃপক্ষ জরুরি সভায় তাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন। কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ মানজুরুর রব মুর্তাযা আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। লিটন বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের ছোপখালী গ্রামের মৃত আমজেদ আলীর ছেলে।

এর আগে সোমবার ওই কলেজের প্রাক্তন এক ছাত্রী (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী) নিজের ফেসবুকে এই শিক্ষকের বিচার দাবি করে কয়েকটি আপত্তিকর ছবিসহ একটি পোস্ট দেন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় ওঠে। বিচারের দাবিতে সোচ্চার হন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা।

এ ঘটনায় সোমবার রাতে কয়েক দফা বৈঠক শেষে কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় অভিযুক্ত শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। পরে মঙ্গলবার ঘোষণা দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘২০১৪ সালে নিজ এলাকার এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে উত্ত্যক্ত করায় গণধোলাই দেওয়া হয় লিটনকে।’

লিটনের বিরুদ্ধে কলেজের একাধিক ছাত্রীকে মোবাইল ফোনে কুরুচিপূর্ণ খুদেবার্তা পাঠানোর অভিযোগও রয়েছে।

Bamna sa-1বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ মানজুরুর রব মুর্তাযা আহসান বলেন, ‘ঘটনাটি ফেসবুকে দেখার পরে হতভম্ব হই। একজন শিক্ষকের এমন আচরণ কাম্য নয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক তদন্ত করে ওই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে। এ বিষয়ে ওই ছাত্রী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে কলেজ কর্তৃপক্ষ তার পাশে থাকবে।’

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা লিটনের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।