পুলিশের অসতর্কতায় পালালো আসামি!

ঝালকাঠি

অসতর্কতার কারণে ঝালকাঠির নলছিটিতে জহিরুল ইসলাম রিমন আকন নামের এক আসামি গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে গেছে। উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের বুড়িরহাট বাজারে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। রিমনকে না পেয়ে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও সহযোগী সোহাগ মোল্লাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

রিমন দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানায়, উপজেলার ভরতকাঠি এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অমল ব্যানার্জির ছেলে বাপিন ব্যানার্জি ও তার আত্মীয়-স্বজনকে মারধরের ঘটনায় গত ২৬ নভেম্বর নলছিটি থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার ১নং আসামি রিমন। শুক্রবার দুপুরে নলছিটি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদুল ইসলাম ও কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম উপজেলার বুড়িরহাট বাজারে গিয়ে আসামি রিমনকে তার দোকানে বসা দেখতে পায়। ওই সময় তারা তাকে গ্রেফতার করতে গেলে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে রিমন কনস্টেবল শহিদুলকে ধাক্কা দিলে দেয়ালের সঙ্গে লেগে তার কপাল ফেটে যায়। এ সুযোগে রিমন দোকান থেকে রাস্তায় লাফিয়ে পড়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে নলছিটি থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পৌছে রিমনকে গ্রেফতারে আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালায়। পরে রিমনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি বুড়িরহাট বাজার থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে আসে তার সহযোগী সোহাগ মোল্লা। ওই সময় সোহাগ মোল্লাকে আটক করে মোটরসাইকেলসহ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। 

লাকাবাসীর অভিযোগ, রিমনকে গ্রেফতার করতে আসা পুলিশ সদস্যদের অসতর্কতার কারণে তিনি  পালিয়ে গেছেন।

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম তালুকদার বলেন, ‘মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল (পিও) পরিদর্শনে গেলে আসামি রিমন তাদের দেখে পালিয়ে যায়। এ কারণে ওই সময় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।’