নারীকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল, আটক ৯

গোষ্ঠীগত হামলায় প্রতিপক্ষের ভয়াবহ মারধরের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। নির্যাতনের এ ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি গণমাধ্যম ও প্রশাসনের নজরে এলে প্রধান আসামি শাকিল হোসেনসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পিপিএম বলেন, বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরমিয়াজান ইউপি মেম্বর প্রার্থী বাবুল হাওলাদারের সমর্থক আ. সালাম হাওলাদারের বাড়ির সামনে অপর মেম্বর প্রার্থী মো. কামাল সিকদারের সমর্থকরা এলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসময় বাবুল হাওলাদারের সমর্থক মো. নাসির খানের সঙ্গে কামালের সমর্থক মো. কালু হাওলাদারের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই মেম্বর প্রার্থীর সমর্থক ও কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও মারামারি হয়। এ সময় বাবুলের সমর্থক শাকিল হোসেন ওরফে শাকিল ডাক্তার ও তার সঙ্গীরা কালুর সমর্থক আকলিমা আক্তারকে ধরে ফেলে। তাকে লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং তার ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে। সেসময় কেউ কেউ এ হামলার ভিডিও ধারণ করে ও তা পরদিন ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।

ভিডিওটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ভাইরাল হয়। ওই মারামারির ঘটনায় আ. সালাম হাওলাদার বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। সঙ্গে সঙ্গে থানায় তা নিয়মিত মামলা হিসাবে রুজুসহ (মামলা নম্বর- ২০) এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

চন্দ্রদ্বীপটি একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ও প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় বিষয়টির গুরুত্বারোপ করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পিপিএম এর নির্দেশে ১৬ এপ্রিল শুক্রবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মুকিত হাসান খান, বাউফল থানার ওসি মো. আল মামুন ও ডিবি পুলিশের ইনচার্জ মো. শাহজাহান খানের সমন্বয়ে পুলিশের একটি দলকে ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে ভাইরাল হওয়া ভিডিও থেকে আসামিদের চিহ্নিত করে রাতভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো মো. শাহআলম গাজী (৫০), মো. জাফর হাওলাদার (৪০), মো. হৃদয় বিশ্বাস (১৯), মো. সজিব হাওলাদার (১৯), মো. মনির মৃধা (৩৫), পারভেজ মীর (৩৫), ইউসুফ মৃধা (৩০), মো. আজিজুল হক (৪৫)। এদের সবার বাড়ি ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে।

ভিকটিম বর্তমানে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত আছেন বলে পুলিশ সুপার জানান।