কাজ শেষে তারে ঝুলে রইলো শ্রমিকের মরদেহ

কাজ শেষে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে নামার আগেই সংযোগ দেওয়ার ঘটনায় ফয়সাল (২৯) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৫ জুন) বরিশাল নগরীর রূপাতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মরদেহ উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহত ফয়সাল বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়ার বাসিন্দা। দুর্ঘটনা ঘটে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবেশন কোম্পানিন (ওজোপাডিকো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের অধীন এলাকায়।

বিদ্যুৎ লাইনে কর্মরত শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এ গটনায় ফিডার ইনচার্জ মো. শহিদ ও নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেনকে দায়ী করেছেন। কাজ শেষ হওয়ার আগেই কন্ট্রোলরুমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ক্লিয়ারেন্স প্রদান করায় এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

ঠিকাদার মিজানুর রহমান বলেন, ১২ জন শ্রমিক নিয়ে রূপাতলী বিদ্যুৎ অফিসের মূল গেটে সকাল থেকেই কাজ করছিলাম। বিকাল ৫টায় কাজ শেষ করে নিহত ফয়সালসহ অপর শ্রমিক খুঁটি থেকে নামছিলেন। ওই সময় বিদ্যুৎ লাইন সচল করে দেওয়ায় বিদ্যুতায়িত হয়ে ফয়সাল মারা যান এবং অপর শ্রমিক ছিটকে নিচে পড়ে আহত হন।

কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব পালনকারী গোলাম ফারুক বলেন, বিকাল ৫টা ৫মিনিটে ফিডার ইনচার্জ শহিদ কন্ট্রোলরুমে এসে ক্লিয়ারেন্স পাওয়া গেছে জানিয়ে লাইন দিতে বলেন। লাইন দেওয়ার কিছুক্ষণ পরপরই দুর্ঘটনার কথা শুনতে পাই। কাজ চলমান অবস্থায় ফিডার ইনচার্জ কীভাবে ক্লিয়ারেন্স পেয়েছেন তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। নিয়ম অনুযায়ী ফিডার ইনচার্জের নির্দেশনা পাওয়ার পরই লাইন দেওয়া হয়।

লাইনে কর্মরত একাধিক শ্রমিক বলেন, যখন দুর্ঘটনা ঘটে তখন নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন ঘটনাস্থলেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এটা ভুল বা দুর্ঘটনা নয়, হত্যা। তারা এ হত্যার বিচার দাবি করেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কীভাবে ঘটনা ঘটেছে, সে তথ্য আমরা সংগ্রহ করছি। নিহতের পরিবারকে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।