মাছটি বিক্রি হলো সাড়ে ৪ লাখ টাকায়

বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ২৮ কেজি ওজনের একটি ভোল মাছ। সেটি বিক্রি হয়েছে চার লাখ ৬২ হাজার ৭০০ টাকায়। শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য ঘাটে ছয় লাখ ৬১ হাজার টাকা মণ হিসেবে ২৮ কেজি ওজনের এই ভোল মাছটি ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।

মৎস্য ঘাটের ব্যবসায়ীরা জানান, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার মাসুম কোম্পানির মালিকানাধীন এফবি আলাউদ্দিন হাফিজ ট্রলার বৃহস্পতিবার ২২ জুলাই বঙ্গোপসাগরের গভীরে মাছ শিকারের উদ্দেশে জাল পাতলে জেলেরা তাৎক্ষণিক ভোল মাছটির উপস্থিতি টের পান। সঙ্গে সঙ্গে জাল টেনে তুললে তারা বৃহৎ এই মাছটি পেয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। এরপর আজ নিয়মিত ডাকে মাছটি বিক্রি করা হয়। বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা ডাকে অংশ নিলেও মাছটি শেষ পর্যন্ত কেনেন খুলনার মৎস্য ব্যবসায়ী মো. জুয়েল।

এফবি আলাউদ্দিন হাফিজ ট্রলারের মাঝি আবু জাফর বলেন, গভীর সমুদ্রে জাল ফেলার সঙ্গে সঙ্গেই জাল টানাটানি শুরু হয়। জাল টানা দেখে মনে হয়েছে বড় কোনও মাছ আটকা পড়েছে। তাই তাৎক্ষণিক আমরা জাল টানতেই বড় মাছটি পাই। আমরা আর দেরি না করে দ্রুত ঘাটে আসি। শনিবার সকাল থেকেই মাছ প্রকাশ্যে ডাক শুরু হলে দুপুর ১২টার দিকে ছয় লাখ ৬১ হাজার মণ দরে ২৮ কেজি ওজনের মাছটি চার লাখ ৬২ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।

ক্রেতা মো. জুয়েল বলেন, আমি এই ঘাটে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছি, সচরাচর এত বড় ভোল মাছ আমি দেখিনি। তাই মাছটি দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না। মাছটি প্রকাশ্যে ডাকে উঠলে আমিও কেনার উদ্দেশে দাম হাঁকাতে থাকি। একপর্যায়ে মাছটি আমি কিনতে সক্ষম হই। মাছটি খাবো না বিক্রি করবো সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেইনি। দেখা যাক কী হয়।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ভোল মাছ সচরাচর পাওয়া যায় না। মূলত এ মাছের বালিশের চাহিদা অনেক বেশি।

জানা গেছে, এ মাছের বালিশ দিয়ে বিদেশিরা জুস বানিয়ে খেয়ে থাকেন। তাই মাছটির দাম এত বেশি হাঁকানো হয়েছে।