কুয়াকাটার দ্বার খুললেও বাধা বৈরী আবহাওয়া

দীর্ঘ ১৩৯ দিন পর বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে দেশের সব পর্যটন কেন্দ্র। প্রায় পাঁচ মাস পর খুললেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে কুয়াকাটায় পর্যটকের তেমন আনাগোনা দেখা যায়নি। তবে অনেক পর্যটক আজ সকালে বিভিন্ন স্থান থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

পর্যটকদের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা। এতে কর্মব্যস্ততা ফিরতে শুরু করেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতে। তবে মাস্ক পরিধান ছাড়া পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না। পর্যটকদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

জানা গেছে, আজ বৈরী আবহাওয়া থাকায় বেশ কিছু পর্যটক কুয়াকাটা পৌঁছালেও সৈকতে নামতে পারেনি। তবে এ বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করেও কিছু পর্যটক এসে বৃষ্টিতে ভিজে সৈকতে গোসল করেছেন।

এদিকে, আবাসিক হোটেলগুলোতে ৫০ শতাংশ রুম বুকিংয়ের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু এখনও আবাসিক হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ কাঙ্ক্ষিত রুম বুকিং পায়নি বলে জানিয়েছে। এদিকে, বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল সমুদ্রে পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সমুদ্রে গোসল না করতে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে।

ঝালকাঠি থেকে আগত মৌসুমি বেগম বলেন, ‘অনেকদিন ধরে  কুয়াকাটা ভ্রমণের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও লকডাউনের কারণে আসতে পারিনি। আজ সকালে আমরা কুয়াকাটা এসেছি। এসেই বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে পড়েছি। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ দেখে ভয়ের চেয়ে ভালোই বেশি লেগেছে।’

kuakata2

বরিশাল থেকে আগত পর্যটক রিতা রানী দাস বলেন, ‘আমার স্বামী ব্যাংকে চাকরি করে। পূজার ছুটিতে বা সরকারি ছুটিতে আমরা কুয়াকাটা ভ্রমণে আসতাম। কিন্তু করোনার কারণে অনেকদিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় আসতে পারিনি। আজকে আসলাম, শুক্রবার ও শনিবার ছুটি আছে, তাই আমারা এই দুই দিন এখানে থাকবো। আর বাচ্চারা এতদিন খাঁচায় (ঘরে) বন্দি ছিল, আজকে খোলা পরিবেশে পেয়ে অনেক আনন্দিত ওরা।’

আবাসিক হোটেল ‘খেপুপাড়া’র মহাব্যবস্থাপক আব্বাস বলেন, ‘আজকে সকাল থেকে হঠাৎ বৃষ্টি। কিছু রুম বুকিং দিয়েছি। আশা করি, বিকেলে আবহাওয়া ভালো থাকলে কিছু পর্যটক পাবো।’

কুয়াকাটা ইলিশ পার্কের পরিচালক আর এম তুষার বলেন, ‘আজকে কুয়াকাটায় কিছু পর্যটক আসছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আরও আসতো। আজকে তো প্রথম দিন, আশা করি সামনের দিনগুলোতে পর্যটক বাড়বে।’

কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল খালেক বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে আগত পর্যটকরা সমুদ্রে গোসল করতে নামছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে জোয়ারের সময় সমুদ্রে গোসল থেকে বিরত থাকতে এবং শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলা হয়েছে। এ জন্য মাইকিং করাসহ দ্বারে দ্বারে গিয়ে নিষেধ করা হচ্ছে।’