‘ঘরে করোনা রোগী থাকলে বিদ্যালয়ে আসতে মানা’

প্রায় দেড় বছর পর রবিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় উচ্ছ্বসিত বরিশালের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারের দেওয়া ১৯ দফা শতভাগ বাস্তবায়নের কথা জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধানরা।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা করা হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসার পর স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া এবং বেঞ্চে দূরত্ব বজায় রেখে বসা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

পাশাপাশি অভিভাবকদের স্কুলে না আসার অনুরোধ জানিয়েছেন নগরীর স্কুল প্রধানরা। সেই সঙ্গে করোনা রোগীর বাসা থেকে শিক্ষার্থীকে স্কুলে আসতে নিষেধ করেছেন তারা।

বরিশাল জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গেট থেকেই কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। মাস্ক ছাড়া কাউকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীরা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নেবে। এ জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এমনকি বেঞ্চে কীভাবে বসবে তারও দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের। এ ছাড়া সরকারের নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা তদারকির জন্য একাধিক শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে করোনা রোগীর বাসা থেকে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসার দরকার নেই।’

হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম ফখরুজ্জামান বলেন, ‘গেটে শিক্ষক এবং কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করবেন। মাস্ক ছাড়া কাউকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এরপরও কেউ মাস্ক ছাড়া এলে বিদ্যালয় থেকে দেওয়া হবে।’

শিক্ষার্থীদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে

বিদ্যালয়ে আসার পর শিক্ষার্থীদের প্রথম কাজ স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া। এ জন্য বেসিন থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ক্লাসে ঢুকে এক বেঞ্চের দুই মাথায় দুই জন শিক্ষার্থী বসবে। 

শিক্ষার্থীরা বারান্দায় থাকলে সেক্ষেত্রে দাঁড়ানোর জন্য গোলাকার চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে। শ্রেণিকক্ষের সামনে জীবাণুনাশক কার্পেট দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে কোনোভাবেই আক্রান্ত না হয় সে জন্য সরকারের দেওয়া সব নির্দেশনা মানা হবে।

একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলছেন, কারও বাসায় করোনা রোগী থাকলে সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না। একই অনুরোধ থাকবে শিক্ষকদের বেলায়ও। এ ছাড়া অভিভাবকদের বিদ্যালয়ে আসার দরকার নেই।

বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘করোনা সুরক্ষায় সরকারের নির্দেশনা শতভাগ মানা হবে। এক্ষেত্রে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।’