তাবলিগে আসা ১৩ মুসল্লি অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে

পটুয়াখালীতে তাবলিগে আসা ১৩ মুসল্লিকে মসজিদে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে। তারা বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। তাদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শনিবার (২৫ সেপ্টম্বর) সকালে শহরের কলাতলা এলাকার বটতলা জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, চেতনানাশক খাইয়ে তাদের অজ্ঞান করা হয়েছে।  

জানা গেছে, শনিবার ফজরের সময় তাবলিগের দুই সদস্য ঘুম থেকে উঠলেও বাকি ১৩ জন উঠতে পারেননি। পরে অচেতন অবস্থায় ১৩ জনকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন মসজিদে আসা মুসল্লিরা।

ওই মুসল্লিদের একজন মো. রাসেল বলেন, ‘বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকার ১৫ জন মুসুল্লি তিন চিল্লার জন্য পটুয়াখালী আসি। মারকাজ মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত শুক্রবার আমরা শহরের কলাতলা এলাকার বটতলা জামে মসজিদে উঠি। এরপর আমরা নিয়ম অনুযায়ী যে-যার কাজ করি। পরে রাতের খাবার শেষ করে যার যার মতো ঘুমাতে যাই। এ সময় আমাদের একজন সাথি মো. জুবায়ের আমাকে বলেন, তার শরীরটা ভালো লাগছে না। এরপর আমরা আমাদের আমির সাহেবেকে জানিয়ে, মসজিদ থেকে একটু সামনের দিকে ঘুরতে যাই। বের হওয়ার পরে জুবায়ের আরও বেশি অসুস্থতা অনুভব করেন। পরে আমাদের অবস্থা আরও খারাপ হতে শুরু করে। আমারা রাস্তায় হাঁটতে পারছিলাম না। অনেক কষ্ট করে আমরা মসজিদে ফিরে এসে কোনও কিছু ঠিক না করেই ঘুমিয়ে যাই।’

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডা. মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘অচেতন ১৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে বলা যাবে তাদের অচেতন হওয়ার কারণ।’

বটতলা মসজিদের ইমাম কলিমুল্লাহ বলেন, ‘তিনি ফজরের নামাজের আগে মসজিদের মোয়াজ্জেম আবদুস সোবাহানের ফোন পেয়ে মসজিদে এসে দেখতে পান সদস্যরা সবাই ঘুমাচ্ছেন। অনেক ডাকার পরেও সদস্যরা কেউ ঘুম থেকে না উঠলে মসজিদ কমিটির সভাপতিকে বিষয়টি জানাই।’

বটতলা মসজিদ কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ফজরের দিকে আমাকে মসজিদের ইমাম সাহেব ফোন করে বিষয়টি জানালে আমি তারাতারি মসজিদে চলে যাই। মুসল্লিদের অবস্থা দেখে আমি স্থানীয় মারকাস মসজিদের ইমাম ও ওসি সাহবকে জানাই এবং তাদের হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করি। তবে কারও কোনও টাকাপয়সা হারানোর ব্যাপারে আমি শুনিনি।’

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার মোরশেদ বলেন, ‘ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়েছি। অসুস্থ মুসল্লিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’