মাঠকর্মী হিসেবে মাদ্রাসা শিক্ষক ও ইমামদের টার্গেট করতেন রাগীব

এহসান গ্রুপে বিনিয়োগ করা পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সদর ও দেউলবাড়ী-দোবরা ইউনিয়নের প্রায় এক হাজার ৭০০ গ্রাহকের পাঁচ কোটি ৯৩ লাখ ১৩ হাজার ৭৯৫ টাকা ফেরতের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এহসান গ্রুপে কাজ করা ভুক্তভোগী মাঠকর্মীদের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাওলানা মাসউদুর রহমান। তার বাড়ি দেউলবাড়ী এলাকায়।

তিনি বলেন, ‘এহসান গ্রুপে পিরোজপুরের চেয়ারম্যান রাগীব আহসান বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে সুদমুক্ত সমাজ গড়ার কথা বলে দাওয়াত দিতেন। ধর্মভীরু লোকজন এর ওপর ভিত্তি করে এহসানে সঞ্চয় করতে শুরু করেন। রাগীব আহসান তার এ কাজে মাঠকর্মী হিসেবে মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমামদেরকে নিয়োগ দেন। এ মাঠ কর্মীদের মাধ্যমে নাজিরপুর সদর ও দেউলবাড়ী-দোবড়া ইউনিয়নের এক হাজার ৭০০ গ্রাহক পাঁচ কোটি ৯৩ লাখ ১৩ হাজার ৭৯৫ টাকা সঞ্চয় রাখেন। ২০১৯ সাল থেকে এহসান গ্রুপ সদস্য ও গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গসহ প্রতারণা শুরু করে। এরপর জমা টাকা ফেরত চাইলে আমাদের হুমকি দেয়। পরে মাঠকর্মী শামসুল হক বাদী হয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান মুফতি রাগীব আহসানসহ সাত জনকে আসামি করে পিরোজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।’

মাওলানা মাসউদুর রহমান বলেন, ‘আমরা এহসান গ্রুপে রাখা আমাদের টাকা ফেরত পেতে প্রশাসনের সাহায্য কামনা করছি।’

উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানার তোপখানা রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান মুফতি রাগীব আহসান ও তার সহযোগী মো. আবুল বাশার খানকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। ওই দিন বিকালে সদর উপজেলার খলিশাখালী এলাকা থেকে মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও মো. খাইরুল বাশারকে গ্রেফতার করে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ। প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পিরোজপুর সদর থানায় এহসান গ্রুপের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়। গত ১৩ সেপ্টেম্বর পিরোজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মহিউদ্দীন আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর তাদের রিমান্ড শেষ হলে আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।