ইলিশ ধরায় ১৪ জেলের কারাদণ্ড ৭ জনের জরিমানা

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ১৪ জেলেকে কারাদণ্ড ও সাত জনকে অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জব্দ করা হয়েছে ২৮ হাজার মিটার জাল, তিনটি ট্রলার ও ৮০ কেজি মাছ।

রবিবার (৩ অক্টোবর) রাত ১২টা থেকে সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত বরগুনার পায়রা নদীর তালতলীর বঙ্গোপসাগরের মোহনা ও আমতলীর গুলিশাখালীর শেষ সীমানা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। মৎস্য অধিদফতর, উপজেলা প্রশাসন কোস্ট গার্ড ও পুলিশের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ইলিশ শিকারের অপরাধে তালতলী উপজেলায় ১৪ জেলেকে ২০ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাওছার হোসেন এ দণ্ডাদেশ দেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- মিজানুর, মো. আলম, আবু ছালেহ, মো. ফারুক গাজী, মো. শাকিব, মো. দুলাল, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. হায়দার, মো. ইছাহাক মিয়া, মো. হালিম, মো. ছগির, মো. সালাম, মো. হারুন ও মো. আবু হানিফ।

তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল আলম জানান, জব্দ হওয়া ৫০ কেজি ইলিশসহ ৩টি ট্রলার বাজেয়াপ্ত করা হয়। মাছ  বিভিন্ন এতিম খানায় বিলিয়ে দেওয়া হয়।

এছাড়াও আমতলী উপজেলার বালিয়াতলী, লোছা, নয়াভাঙ্গলী, বৈঠাকাটা, বুড়িরচর, জাঙ্গালিয়া, আঙ্গুলকাটা ও গুলিশাখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৮ হাজার মিটার সাইন জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং বটতলা এলাকায় মোতাহার আকনের বরফ কলে অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি ইলিশ জব্দ করে এতিমদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়। বরফ কলটি সাত দিনের জন্য সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ সময় নদীতে মাছ ধরার অপরাধে সাত জেলেকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন বরগুনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভির আহমেদ। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ছালম, সবুজ, শহীদ, ফারুক, ছগির, আবু ছালেহ ও মিজান।

আমতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সর্দার জানান, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ইলিশ রক্ষায় প্রতিদিন নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।