মনপুরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

ভোলার মনপুরায় সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদার ও বর্তমান চেয়ারম্যান আমানত উল্যাহ আলমগীর গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার সকালে ১নং মনপুরা ইউনিয়নের কাউয়ারটেক ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মনপুরা ইউনিয়ন যুবলীগ সম্পাদকসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনা বেশকটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

যে কোনও সময় আবার সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। চৌমুহনী বাজার ও নতুন রামনেওয়াজ বাজারের বর্তমান চেয়ারম্যান সমর্থিত তিন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বর্তমান চেয়ারম্যান আমানত উল্যাহ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান সকাল ৯টায় সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদার কাউয়ারটেক মোড়ে সুজনের চায়ের দোকানে চা খেতে আসেন। সেখানে বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীরের ছোট ভাই মিজান ও ছালাম আসেন। পরে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

মনপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমানত উল্যাহ আলমগীর জানান, যুবদল থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে আলাউদ্দিন। দলীয় টিকিট না পেয়ে সে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমার মা-ভাইকে মারধর করেছে।

সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদার বলেন আমি সকালে কাউয়ারটেক মোড়ে চা খেতে দোকানে বসি। বর্তমান চেয়ারম্যান আমানত উল্যাহর ভাই ছালাম ও মিজান এসে আমাকে হুমকি দেয়। এরপর আমার সঙ্গে থাকা লোকের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি হয়। পরে আমি বাড়ি চলে আসি। আমার বিরুদ্ধে বর্তমান চেয়ারম্যানের অভিযোগগুলো মিথ্যা।

মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।