১০ হাজার তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলা ক্ষেত পরিদর্শনে পাউবোর তদন্ত কমিটি 

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তরমুজ গাছ তুলে ফেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক দেলোয়ার হোসেনের ক্ষেত পরিদর্শন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে ক্ষেত পরিদর্শন করেন তারা। পরিদর্শনকালে স্থানীয় বনবিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৭ জানুয়ারি ‘তুলে ফেলা হলো ১০ হাজার তরমুজ গাছ’ এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহরিয়ার সরকার বলেন, ‘তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে আমরা ক্ষেত পরিদর্শন করতে এসেছি। এখানে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী, বন বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবাই রয়েছেন। সবকিছু যাচাই করে এ বিষয়ে জানাতে পারবো।’

তদন্ত কমিটির আরেক সদস্য আফতাব বলেন, ‘তদন্ত চলছে। আপাতত কিছু বলতে পারছি না। তদন্ত শেষে আমরা জানাবো।’

কৃষক দেলোয়ার হোসেন জানান, দুই মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বনবিভাগের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঢালে ১৫ হাজার তরমুজ গাছ রোপণ করেন তিনি। কিন্তু গত ১৬ জানুয়ারি সকালে হঠাৎ তার ১০ হাজার তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন বেড়িবাঁধ রক্ষা প্রকল্পের প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম। এতে কান্নাকাটি করেন কৃষক দেলোয়ার। এমনকি প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামের হাত-পাও ধরেছিলেন, কিন্তু তিনি শোনেননি।

তিনি আরও বলেন, ‘তরমুজ চাষে আমার আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এসব টাকা আমি এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলাম। এখন কীভাবে ঋণের টাকা পরিশোধ করবো? নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ না করতে না পারলে অতিরিক্ত সুদ হবে।’

এর আগে, ১৯ জানুয়ারি কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এম আর এম সাইফুল্লাহ ওই ক্ষেত পরিদর্শন করে জানান, ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন তারা। ক্ষতিপূরণ ও জড়িতদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।