ধর্ষণের অভিযোগে এসআইকে কুপিয়ে জখম করলেন গৃহবধূ

কাঠালিয়া উপজেলার তারাবুনিয়া পুলিশ ক্যাম্পের এস আই আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে জখম করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্যাতনের শিকার নারী। ঘটনার পর এসআই আলমগীরকে আর ক্যাম্পে পাওয়া যায়নি।  

পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সাহিন হাওলাদার জানান, ভগ্নিপতির চায়ের দোকানে যাতায়াতের সুবাদে এস আই আলমগীরের সঙ্গে ওই নারীর সখ্য হয়। সোমবার রাতে (৪ এপ্রিল) এস আই ওই নারীর ভগ্নিপতির বাড়িতে প্রবেশ করে। পরে ধর্ষণের শিকার হয়ে এস আই আলমগীরকে কুপিয়ে জখম করেন ওই নারী।

এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই নারীকে পরিবারের সদস্যরা ভয়ে সাময়িকভাবে আড়ালে রাখেন। সেই সুযোগে পুলিশও ঘটনা আড়ালের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ অবস্থায় প্রাথমিকভাবে বিষয়টি তেমন জানাজানি হয়নি। তবে বুধবার (৬ এপ্রিল) ভিকটিম সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানালে উপজেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে কাঁঠালিয়া থানার ওসি মুরাদ আলী বলেন, গত সোমবার রাত ৮টার দিকে গৃহবধূ ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে তাকে ধর্ষণের তথ্য জানান। খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছি। তখন গৃহবধূ জানায়, তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করায় এস আই আলমগীরকে কুপিয়ে জখম করেন ও মোবাইল ফোন রেখে দেন। যদিও মোবাইল ফোনটি ওই নারী দেখাতে পারেননি। পরে ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝালকাঠি পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষার পর থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করার কথা তার। তবে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত তিনি কোনও অভিযোগ করেননি।

তারাবুনিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমি এ ধরনের একটি ঘটনার কথা শুনেছি। কিন্তু আমি ছুটি শেষে মঙ্গলবার ক্যাম্পে ফেরার কারণে কিছুই জানি না। তবে ক্যাম্পে ফিরে এস আই আলমগীরকে আর দেখেননি বলে জানান তিনি।