কুয়াকাটায় ৩ পর্যটককে বাস শ্রমিকদের মারধর

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বাস শ্রমিকদের বিরুদ্ধে তিন পর্যটককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৪টায় কুয়াকাটা পৌরসভার অস্থায়ী বাস টার্মিনাল তুলাতলীতে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরে আহতরা হলেন—নরসিংদী মো. রুবেল, রিপন মাহমুদ ও হনুফা বেগম। এ সময় ভিডিও করার অপরাধে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। 

হামলার শিকার পর্যটক রুবেল জানান, শিশুসহ পরিবারের আট সদস্য বেলা ১১টায় বরিশাল থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে ‘ছন্দা’ নামের (পটুয়াখালী-ব-৩১-০০৪৫) একটি বাসে ওঠেন। পথিমধ্যে রুবেলের শিশুসন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় নির্ধারিত সিটে শিশুকে শুইয়ে রেখে নিজে দাঁড়িয়ে থাকেন। বাসের কন্ডাক্টর এসে ‘দাঁড়িয়ে থাকলে একজনের বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে’ বলে ধমক দেন। এ ঘটনার কিছু অংশ মোবাইল ফোনে ভিডিও করেন রুবেল এবং পাশের সিটে বসা পর্যটক লক্ষ্মীপুর থেকে কুয়াকাটায় ভ্রমণে আসা বাসযাত্রী রিপন মাহমুদ। মোবাইলে ভিডিও করায় কন্ডাক্টর তাদের হুমকি দেন। পরে ভিডিও করার অপরাধে রিপনকে মারধর করেন। এ সময় তার মোবাইল ফোনও ভেঙে ফেলেন। পরে কুয়াকাটায় পৌঁছে বাস থেকে নামার সময় স্টাফরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় রেহাই পায়নি ওই পর্যটক পরিবারের নারী সদস্যরাও। মারধরের এক পর্যায়ে আড়াই ভরি ওজনের একটি স্বর্ণালঙ্কার খোয়া যাওয়ার অভিযোগ করেছেন রুবেল।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মহিপুর থানার এসআই মোজাম্মেল গিয়ে বাসচালক কামাল ও সুপারভাইজার জামালসহ ওই পর্যটকদের থানায় ডেকে নেন। 

মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বাসচালক কামাল বলেন, ‘তাদের সঙ্গে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে।’ 

মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, পর্যটক পরিবারটি লিখিত অভিযোগ দিতে অস্বীকার করায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি। তবে আলোচনা করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।