উত্তাল বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে গেলো আরও ২ ট্রলার

বরগুনার তালতলী উপজেলার আশারচর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত বঙ্গোপসাগরে লালদিয়ার চর সংলগ্ন স্থানে ঝড়ের কবলে পড়ে  শুক্রবার (১৯ আগস্ট) ভোরে একটি ও পায়রার মোহনায় আরেকটি ট্রলার  ডুবির ঘটনা ঘটেছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১৯ জেলেকে উদ্ধার করা গেলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছে ট্রলার দুটি।

উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, নিদ্রা এলাকার জাফর মাঝির এফবি হাওলাদার নামের ট্রলারটি ১৩ জেলেসহ বৃহস্পতিবার বিকালে বঙ্গোপসাগরে লালদিয়ার চরের কাছে মাছ ধরতে যায়। শুক্রবার ভোরে আকস্মিক ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। পার্শ্ববর্তী একটি ট্রলারে সাহায্যে ডুবে যাওয়া ট্রলারটির ১৩ জেলেকে উদ্ধার করা গেলেও ট্রলারটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে, মজনু মেম্বারের একটি ট্রলার ছয় জেলেসহ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গোপসাগরের পায়রা নদীর মোহনায় জাল ফেলতে গেলে শুক্রবার ভোরে ঝড়ের কবলে পড়ে  ট্রলারটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে কিনার থেকে দুটি ট্রলার গিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ছয় জেলেকে উদ্ধার করলেও ট্রলারটি পাওয়া যায়নি।

তালতলী উপজেলার ডুবে যাওয়া ট্রলারটির মালিক জাফর মাঝি বলেন, ‘ট্রলারে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকার জাল, মাছ ও জ্বালানি তেল ছিল। সব কিছু ডুবে গেছে। বিষয়টি আমরা কোস্ট গার্ডকে জানিয়েছি। স্থানীয়ভাবে ট্রলারটির ডুবে যাওয়া স্থান চিহ্নিত করে উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছি।’

আমতলীর ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক মজনু মেম্বার বলেন, ‘ট্রলারডুবির ফলে জাল নৌকাসহ সব কিছু ভেসে গেছে। জেলেরা প্রাণে বাঁচলেও আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। ট্রলারটিই ছিল আমার একমাত্র সম্বল।’

তালতলী উপজেলার নিদ্রা নৌ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ঝড়ের কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে দুটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। জেলেদেরকে উদ্ধার করা গেলেও ট্রলার দুটি এখনও নিখোঁজ রয়েছে। ট্রলার দুটি উদ্ধারেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

এদিকে, বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ১৪ জেলেসহ এফবি সোহেল ও এফবি সুজন নামের দুটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। জেলেদের উদ্ধার করা হলেও ট্রলার দুটি এখনও উদ্ধার হয়নি। আজ বিকালে কক্সবাজারের সোনাদিয়া এলাকার বঙ্গোপসাগরেও ১৮ জেলে নিয়ে একটি ট্রলার ডুবেছে। আট জেলেকে উদ্ধার করা গেলও নিখোঁজ রয়েছেন বাকিরা।