শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিক্ষিকাকে হয়রানির অভিযোগ

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) মো. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে রায়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকাকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ওই শিক্ষক। এ ঘটনায় শিক্ষা কর্মকর্তার বিচার দাবি করেছেন শিক্ষিকার স্বামী।

এরআগে সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরে শিক্ষা অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান ওই শিক্ষিকার স্বজন ও স্থানীয়রা। এ সময় তারা শিক্ষা কর্মকর্তার শাস্তিমূলক বদলির দাবি করেন।

শিক্ষিকার স্বামী অভিযোগ করেন, ‘২০২০ সালে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সময় আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই সময় দেড় বছর মেয়াদি বুনিয়াদি ডিপিএড (ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন) প্রশিক্ষণ তালিকায় আমার স্ত্রীর নাম অন্তর্ভুক্ত করেন শিক্ষা কর্মকর্তা। এরপর নাম কাটতে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ নেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি ডিপিএড তালিকায় আবারও তার স্ত্রীর নাম দিয়ে আরও সাড়ে চার হাজার টাকা নিয়ে নাম কাটেন।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘ছুটি মঞ্জুরের জন্য তিনি বিভিন্ন সময় ঘুষ দাবি করেন। দাবি করা ঘুষ না দেওয়ায় এখন নীতিমালার তোয়াক্কা না করে অন্য স্কুলে ডেপুটেশনে পাঠানোর চেষ্টা করেন তিনি। এসব ঘটনায় আমার স্ত্রী মানসিকভাবে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন।’

তবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) মো. রুহুল আমিন সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘সিনিয়রিটির ভিত্তিতে ওই শিক্ষিকার নাম ডিপিএড তালিকায় দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তার অসুস্থতার কারণে নাম কাটা হয়। এখানে কোনও আর্থিক লেনদেনের ঘটনা ঘটেনি। আর আমি কোনও অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। উপকার করে আমি এখন দোষী হয়েছি।’