বিপৎসীমার ওপরে বরিশালের সব নদীর পানি, জলমগ্ন নগরী

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এ কারণে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত এবং নগরীর বিভিন্ন সড়ক জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। 

রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকাল থেকে কীর্তনখোলা নদীতে জোয়ার শুরুর পর থেকে পানি বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন সড়কে পানি উঠেছে।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভেয়ার মহসিন আলম সুপ্ত বলেন, ‌‘কীর্তনখোলা নদীর বিপৎসীমা ২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। তা আজ বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে অতিক্রম করে উচ্চতা দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। তেঁতুলিয়া নদীর বিপৎসীমা লেবেল ২ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে ৩ দশমিক ৫ সেন্টিমিটারে দাঁড়িয়েছে। ভোলার দৌলতখানে মেঘনার নদীর বিপৎসীমা লেবেল ৩ দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে পানির উচ্চতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটারে। তজুমদ্দিনের মেঘনায় বিপৎসীমা লেবেল ২ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে পানির উচ্চতা দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটারে। ঝালকাঠির বিষখালী নদীর বিপৎসীমা লেবেল ২ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে উচ্চতা দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মীর্জাগঞ্জ পায়রা নদীতে বিপৎসীমা লেবেল হচ্ছে ২ দশমিক ৮১ সেন্টিমিটার। সেখানে বিকাল ৫টায় পানির উচ্চতা দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ২০ সেন্টিমিটারে। বরগুনার বিষখালীতে বিপৎসীমা লেবেল ২ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে উচ্চতা দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটারে। পাথরঘাটার বিষখালী নদীতে বিপৎসীমা লেবেল ২ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে পানির উচ্চতা দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটারে। পিরোজপুর বলেশ্বর নদীর বিপৎসীমা লেবেল ২ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার। বিকালে পানির উচ্চতা বেড়ে দাঁড়ায় ২ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটারে। উমেদপুরে কচা নদীর বিপৎসীমা লেবেল ২ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে পানির উচ্চতা দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটারে।’

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক রয়েছে। আগামী দুই-একদিন এই অবস্থা বিরাজ করার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।’