পুলিশের লাঠিচার্জে বিএনপির ১০ নেতাকর্মী আহতের অভিযোগ

বরিশালের বাকেরগঞ্জে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে ১০ জন আহত হয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। যদিও পুলিশ দাবি করছে, লাঠিচার্জের কোনও ঘটনা ঘটেনি।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসির হাওলাদার দাবি করেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে লিফলেট বিতরণ করছিলেন। লিফলেট বিতরণ শেষে কলসকাঠী বাজারে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় আকস্মিকভাবে ওসি আলাউদ্দিন মিলনের নেতৃত্বে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে ১০ নেতাকর্মী আহত হন।’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘আগামীকাল বুধবার বাজারে জগদ্বাত্রী পূজা- তাই মিছিল করা যাবে না অজুহাত তুলে বিএনপি নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করা হয়। কিন্তু এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের কোনও সমস্যা হওয়ার কথা না।’

দলটি দাবি করছেন লাঠিচার্জে কলসকাঠি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন জমাদার, কলসকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল আমিন মোল্লা, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মনির তালুকদার, আরেক ওয়ার্ডের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল সিকদার, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান শাওন, শ্রমিক দলের খালেক হাওলাদার, আব্দুর রব, তুহিন হাওলাদার ও সোহেল হাওলাদার।

বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন মিলন দাবি করেন, ‘সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান ও হারুন সিকদার গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। দুই গ্রুপ একই স্থানে সভা করলে সংঘর্ষের আশঙ্কায় তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। লাঠিচার্জের কোনও ঘটনা ঘটেনি।’