সমাবেশস্থলে মিছিল-স্লোগানে উজ্জীবিত বিএনপির নেতাকর্মীরা 

মিছিল-স্লোগানে রাত পর্যন্ত গণসমাবেশস্থল মাতিয়ে রেখেছেন বরিশালের বিএনপি নেতাকর্মীরা। উজ্জীবিত কর্মী ও সমর্থকরা স্লোগানে স্লোগানে খালেদা জিয়া ও তারকে রহমানের কথা বলার পাশাপাশি স্থানীয় নেতাদের নামও তুলে ধরছেন। এদিকে সংসদ সদস্য হওয়ার দৌড়ে থাকা স্থানীয় নেতাদের অনেকেই সমাবেশস্থলে শোডাউন করেছেন। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিকাল থেকেই রাত পর্যন্ত সমাবেশস্থলে তারা অনুসারীদের নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল করেন। 

এদিকে বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে দুইদিন আগে থেকেই অবস্থান নিয়ে শনিবারের সমাবেশের অপেক্ষা করছেন।  

শুক্রবার সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেন সাবেক মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী। তিনি দুই থেকে তিনশ’নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করেন। এ সময় অনুসারীরা তার নামে স্লোগান দেন। পাশাপাশি দলীয় চেয়ারপারসন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের নামেও তারা স্লোগান দেন।  এর কিছুক্ষণ পরে সমাবেশস্থলে  প্রবেশ করেন বরগুনার সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মনির। তার সঙ্গেও ছিল অনুসারীদের বিশাল বহর। বিকালে মাঠে আসেন মুলাদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সত্তার খান। ওই সময় তার সঙ্গে গুটি কয়েক নেতাকর্মী থাকলেও। সন্ধ্যায় সাত থেকে আট ট্রলার নেতাকর্মী কেডিসি ঘাটে এসে পৌঁছান। পরে সত্তার খানের নেতৃত্বে একটি মিছিলটি সমাবেশস্থলে ঘুরে বেড়ায়।
 
কুয়াকাটা ও বরগুনা থেকে আসা একাধিক নেতা জানান, ২ নভেম্বর তারা গাড়ি রিজার্ভ করে সমাবেশস্থলে এসেছেন। এরপর তাবু টানিয়ে অবস্থান করছেন। প্রতিদিন চাল, ডাল, আলু কিনে সমাবেশস্থলেই রান্নার আয়োজন হয়। রান্নার জন্য তারা লোকও নিয়ে এসেছেন।  
  
এদিকে সমাবেশস্থলে বিভিন্ন নেতার ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। কে কার আগে ফেস্টুন লাগাবেন তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে। 

সবাই সমাবেশস্থলে ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করছেন। এ জন্য অনেকে অনুসারীদের জন্য এক কালারের গেঞ্জি ও ক্যাপের ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া জাতীয় পতাকা দিয়ে বানানো হয়েছে মাথার ব্যান্ড। রয়েছে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড। 

নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক মতিউর রহমান মিঠু বলেন, সমাবেশস্থলে আসা নেতাকর্মী ও সমর্থকদের জন্য ঠাণ্ডা পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে সমাবেশস্থলে নিজেদের কর্মীদের চিহ্নিত করতে এক কালারের গেঞ্জি ও ক্যাপের ব্যবস্থা করেছেন বলে জানান তিনি।  
 
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির বলেন, ছয় জেলা ও ৪২টি উপজেলা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে বরিশালে পৌঁছেছেন। ওই নেতাকর্মীরা স্থানীয়ভাবে এক এক নেতার নেতৃত্বে দলের কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন। 
 
তিনি আরও বলেন, রাতে সমাবেশস্থলে ২০ হাজারের বেশি নেতাকর্মী অবস্থান করছেন। আওয়ামী লীগের বাধার কারণে অনেকে আগে থেকেই বরিশালে এসে সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়েছেন। শনিবারের গণসমাবেশ দেশের সবকটি সমাবেশের চেয়ে বৃহত্তর সমাবেশে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। 

এদিকে আজ গণসমাবেশস্থলে নেতাকর্মীদের জুমার নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে। নামাজের সময় সমাবেশস্থলে অবস্থানে নেওয়া কর্মীদের থেকে একজনকে ইমামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে বেশিরভাগ নেতাকর্মীকে সমাবেশস্থলের আশপাশের মসজিদে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে।