ঝালকাঠিতে ছাত্রলীগের বাসে বোমা হামলা, বিএনপির ৪৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

ঝালকাঠিতে ঢাকা থেকে ফেরার পথে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বহনকারী বাসে বোমা হামলার অভিযোগে বিএনপির ৪৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে সদর থানায় মামলাটি করেছেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকির। বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি করেছেন তিনি।

মামলায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাদাৎ হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর, যুবদলের আহ্বায়ক শামীম হোসেন, সদস্য সচিব আনিসুর রহমান খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সরদার শাফায়েত হোসেন ও ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুর রহমান খানসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সদর থানার ওসি মো. নাসির উদ্দীন সরকার বলেন, ‌‘জেলার নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন শেষে ঢাকা থেকে ঝালকাঠি ফিরছিলেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বরিশাল-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির কৃষ্ণকাঠি ব্র্যাকমোড় ব্রিজ এলাকায় বাস দুটি পৌঁছালে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ মধু বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ৯টায় জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বহনকারী বাস দুটি লক্ষ্য করে কে বা কারা পাঁচটি বোমা ছুড়েছে। এতে কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ ঘিরে দেশব্যাপী অরাজকতা শুরু করেছে বিএনপি। আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে বাসে বোমা মেরেছে। আমরা আইনি ব্যবস্থা নেবো।’

ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘বাসে বোমা হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’

তবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মুবিন বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশে নেতাকর্মী এবং জনতার ঢল থামাতে অপকৌশল হিসেবে গায়েবি মামলা দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। ওই মামলার সূত্র ধরে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে পুলিশ। এ পর্যন্ত নলছিটি, রাজাপুর, কাঁঠালিয়া ও সদর থানায় একই ধরনের চারটি মামলা করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। শুধুমাত্র আমাদের হয়রানি করতে নিজেরাই ঘটনা ঘটিয়ে মামলা দিয়ে যাচ্ছেন।’