সরকারি কর্মকর্তার বিষপান, বাসা থেকে চিরকুট ও কাফনের কাপড় উদ্ধার

ভোলার লালমোহন উপজেলায় এক সরকারি কর্মকর্তা বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। মুমূর্ষু অবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। পুলিশ এ ঘটনায় ওই সরকারি কর্মকর্তার বাসা থেকে কাফনের কাপড়সহ একটি চিরকুট উদ্ধার করেছেন।

সোমবার (৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সবুজবাগ এলাকা সংলগ্ন তার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি লালমোহন উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারী কর্মকর্তা। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে লালমোহন থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওই সরকারি কর্মকর্তার নাম আরিফুর রহমান খন্দকার (৩৫)।

জানা গেছে, দুই বছর আগে বিয়ে করেছেন। দাম্পত্য জীবনে তিনি অসুখী ছিলেন। দুই বছর ধরে তিনি লালমোহন উপজেলার ওই ভাড়া বাসায় একাই বসবাস করছেন। তার স্ত্রী সঙ্গে থাকেন না। পুলিশের ধারণা, দাম্পত্য জীবনে অশান্তি থেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে কীটনাশক পান করে সরকারি এ কর্মকর্তা আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন।

লালমোহন থানার (ওসি তদন্ত) মো. এনায়েত হোসেন জানান, সরকারি ওই কর্মকর্তা বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ ওই ভাড়া বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখানের চিকিৎসক তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। তাৎক্ষণিক তাকে সদর হাসপাতালে না নিয়ে বরিশাল শেরে-বাংলা (শেবাচিম) হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমান সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।

পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, সরকারি এ কর্মকর্তা কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করতে চেয়েছেন। তার অচেতন দেহের পাশ থেকে কীটনাশকের একটি কৌটা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও একটি কাফনের কাপড়সহ হাতে লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। চিরকুটে তিনি লিখেছেন, ‘কেউ আমাকে ভালোবাসে না, কেউ আমার সঙ্গে ভালো করে কথাও বলে না। তাই এখানে বেঁচে থেকে কী লাভ? এর চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো’।

ওসি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দাম্পত্য জীবনের কলহের জেরে সরকারি এ কর্মকর্তা কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করতে চেয়েছেন। তবে তিনি সুস্থ হলে ঘটনাটির বিস্তারিত জানা যাবে। পুলিশ সার্বক্ষণিক তাঁর খোঁজখবর রাখছে।