মোখার প্রভাবে কুয়াকাটায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কুয়াকাটা উপকূলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শনিবার (১৩ মে) গভীর রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও ঝড়ো বাতাস নেই। পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দর এলাকায় বর্তমানে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কুয়াকাটায় হালকা বৃষ্টি পড়ছে। আকাশ মেঘলা। সাগর কিছুটা উত্তাল হয়ে উঠেছে। তবে ঝড়ো বাতাস নেই। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নামতে দেওয়া হচ্ছে না পর্যটকদের। উপকূলের মাছধরা ট্রলারগুলো বিভিন্ন নদ-নদীতে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত হোটেলগুলোতে কেউ আশ্রয় নিতে আসেনি।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ব্যবসায়ী ইদ্রিস সরদার বলেন, ‘শনিবার রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সাগর কিছুটা উত্তাল হলেও বাতাস নেই। তবে পর্যটকদের সৈকতে নামতে দিচ্ছে না পুলিশ।’

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, ‘সাগর ধীরে ধীরে উত্তাল হচ্ছে। শনিবার মধ্যরাত থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। রবিবার সকালে আধা ঘণ্টা হালকা বৃষ্টি পড়েছে। তবে ঝড়ো বাতাস নেই, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সমুদ্রে গোসল করতে নামতে দেওয়া হচ্ছে না।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, ‘অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালী উপকূলের আকাশ শনিবার সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় উপজেলার ১৭৫টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।