নিরাপদ আশ্রয়ে উপকূলের জেলেরা

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কুয়াকাটার উপকূলে সাগর কিছুটা উত্তাল হয়ে উঠেছে। শনিবার রাত থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। তবে ঝড়ো বাতাস নেই। জেলেরা গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলের বিভিন্ন স্থানে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন। শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুর খাপড়াভাঙ্গা নদীতে দেশের বিভিন্ন এলাকার সহস্রাধিক মাছ ধরা ট্রলার ভিড়েছে।

জেলেরা জানান, শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারগুলো উপকূলে এসে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। কুয়াকাটা সংলগ্ন আলীপুর-মহিপুর খাপড়াভাঙ্গা নদীতে নিরাপদে আশ্রয় নিয়ে নোঙর করে আছে ট্রলারসমূহ। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন নদী, খালে এবং সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে শতাধিক মাছধরা ট্রলার নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।  

ট্রলার মাঝি রুহুল আমিন হাওলাদার জানান, সমুদ্র থেকে উঠে আসার মতো পরিস্থিতি এখনও হয়নি। মোখার আগাম সতর্কতার কারণে কিনারে এসেছেন। তারা এখন জাল বুনবেন, ট্রলার মেরামত করবেন। ২০ মে থেকে শুরু হবে ৬৫ দিনের মৎস্য অবরোধ। তাই আবহাওয়া পরিস্থিতি শান্ত হলেও সমুদ্রে যাওয়ার আর সুযোগ নেই।

কুয়াকাটা আলীপুর মৎস্য আড়তদার সমবায় সমিতির সভাপতি ও লতাচাপলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল হয়ে উঠেছে। আমরা আগাম সতর্কতার অংশ হিসেবে জেলেদের তীরে আসতে বলছি। মাছধরা ট্রলারগুলো গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে উপকূলের বিভিন্ন নদী-খালে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।’

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা নৌকা-ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। এদিকে, পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।  

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, সতর্কতার জন্য মালিকদের ট্রলারগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে রাখতে বলা হয়েছে।