কুয়াকাটায় এক ট্রলারে ধরা পড়লো ৯২ মণ ইলিশ, ২০ লাখে বিক্রি

পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক ট্রলারে ধরা পড়েছে ৯২ মণ ইলিশ। কলাপাড়া উপজেলার ফরিদ মাঝি নামে এক জেলের জালে দুই দিনে ইলিশগুলো ধরা পড়েছে। 

বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে মাছগুলো কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর মৎস্য বন্দরের ঝুমুর অ্যান্ড ব্রাদার্স আড়তে নিয়ে আসেন ওই জেলে। পরে নিলামের মাধ্যমে ২০ লাখ ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে পায়রা বন্দরের শেষ বয়া থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে মাছগুলো ধরা পড়ে। শীত মৌসুমে দীর্ঘদিন পর এই জেলের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় খুশি জেলে ও ব্যবসায়ীরা।

জেলে ফরিদ মাঝি

ফরিদ মাঝি বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে ১৭ জন জেলে এফবি মা জননী ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে যাই। প্রথম কয়েকদিন মাছ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ি। পরে পায়রা বন্দর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে জাল ফেলি। সোমবার কিছু ইলিশ ধরা পড়ে। মঙ্গলবার সমুদ্রের আরও গভীরে গিয়ে জাল ফেলার পর এক টানে প্রচুর ইলিশ ওঠে। এতে ট্রলারবোঝাই হয়ে গেলে আমরা মহিপুর মৎস্য বন্দরে ফিরে আসি।’

এফবি মা জননী ট্রলারের মাঝি আব্দুস সহিদ বলেন, ‘শীত মৌসুমে এত বেশি মাছ ধরা পড়বে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। ৯২ মণ ইলিশ ২২ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি।’

বুধবার দুপুরে মাছগুলো কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর মৎস্য বন্দরের ঝুমুর অ্যান্ড ব্রাদার্স আড়তে নিয়ে আসেন জেলে ফরিদ মাঝি

শীতের মৌসুমে ইলিশের তেমন একটা দেখা মেলে না উল্লেখ করে মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা বলেন, ‘হঠাৎ এত ইলিশ ঘাটে আসায় অন্য জেলেরাও উৎসাহ পেয়েছেন। জেলেরা সমুদ্রে গেলে এবং বেশি মাছ পেলে ব্যবসায়ীরাও লাভবান হন।’

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘জেলেরা গভীর সমুদ্রে জাল ফেললে বেশি মাছ ধরা পড়ে। বিশেষ করে শীত কমে আসলে ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে আরও বেশি ইলিশ ধরা পড়বে।’