সহযোগীকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই কারাগারে

মাদক বিক্রির বিরোধের জেরে সহযোগীকে পিস্তল ও ফেনসিডিল দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ধরা পড়েছে এক মাদক বিক্রেতা। তার নাম শামীম হাওলাদার। আটকের পর তার কাছ থেকে অস্ত্র ও ১৬ বোতল ফেনসিডিল  উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে শামীম হাওলাদার, তার সহযোগী সোহেল ও শাকিলের বিরুদ্ধে অস্ত্র এবং মাদক আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় শামীমকে গ্রেফতার দেখিয়ে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। শামীম ঝালকাঠি সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মালেক হাওলাদারের ছেলে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই কাজী ওবায়দুল কবির বলেন, ‘বানারীপাড়া উপজেলার মহিষাপোতা গ্রামের শাকিল ও সোহেলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে শাকিল তার সহযোগী সোহেলকে ফাঁসাতে শামীমকে ৫০০ টাকা দিয়ে ভাড়া করে। পরে পিস্তল ও ফেনসিডিল এনে সোহেলের বাড়ির রান্নাঘরে রেখে আসতে বলে। তার কথামতো সোমবার রাতে সোহেলের রান্নাঘরে পিস্তল ও ফেনসিডিল রেখে আসে শামীম। এরপর বিষয়টি শামীম মোবাইল করে আমাকে জানায়। মঙ্গলবার সকালে তাকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় শামীম অস্ত্র ও ফেনসিডিল দেখিয়ে দেয়। এতে সন্দেহ হলে তাকেই আটক করা হয়। তার চিৎকারে ঘুম থেকে উঠে পালিয়ে যায় সোহেল। আটকের পর শাকিলের কথামতো সোহেলকে ফাঁসানোর বিষয়টি স্বীকার করে শামীম।’

এ ঘটনায় তাদের তিন জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে উল্লেখ করে এসআই ওবায়দুল কবির বলেন, ‘দুপুরে শামীমকে অস্ত্র ও মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অপর দুই আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।’