বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন: ঝালকাঠিতে নানা কৌশলে চলছে অর্থ আদায়

ঝালকাঠিডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের ঘোষণা অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দেশজুড়ে শুরু হওয়া বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রমে সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো বিশেষ জনবল নিয়োগ করে নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনায় নানা কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ অর্থ। আর অপারেটর কোম্পানিগুলোর স্থানীয় অফিসে গেলে কোনও রকমের খরচ না নিলেও সময়ক্ষেপণের গ্রাহকদের হয়রানি করছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জনগণের সুবিধার্থে নিয়োগকৃত বিশেষ জনবল দিয়ে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করেছে গ্রামীণ ফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল, টেলিটক এবং সিটিসেল কোম্পানিগুলো। কিন্তু, সরেজমিন পরিদর্শন করে ও গ্রাহকদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত সপ্তাহে আমতলা রোডস্থ একটি অপারেটর কোম্পানির নিয়োগকৃত টিমের কাছে আসে পরমহলিএলাকা থেকে দুই নারী গ্রাহক। তাদের কাছে দুটি সিম থাকলেও মোবাইল সেট ছিলো না। এসময়  তাদের নিজ মোবাইলে সিম ঢুকিয়ে, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং হাতের আঙুলের ছাপ রেখে নিবন্ধন করে দিতে চান ওই টিমের সদস্যরা। কিন্তু, এজন্য জনপ্রতি ২০ টাকা করে দাবি করেন তারা। নিবন্ধনে টাকা লাগে না জানালে তারা বলেন, শুধু আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি রেখে আপনাদের কাজ শেষ করে দিচ্ছি, রাতে কষ্ট করে এটা দেখে পুরো ফরমটি পূরণ করতে হবে, তাই ২০ টাকা করে চার্জ দেবেন।

এভাবে প্রতিটি কোম্পানির প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের কাছ থেকে ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে বাংলালিংক এজেন্ট ব্যবস্থাপক শাওন ও গ্রামীণ ফোন এরিয়া মার্কেটিং অফিসার মো. আতিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, সিম নিবন্ধনে কোনও টাকা নেওয়ার নিয়ম নেই। ব্যবসায়ীদের বা রিটেইলারের কাছে না গিয়ে সরাসরি সার্ভিস পয়েন্টে গেলে কোনও টাকা ছাড়াই নিবন্ধন করে দেওয়া হয়।

/বিটি/টিএন/আপ-এআর/