পটুয়াখালীতে মন্দির নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংঘর্ষের ঘটনায় একজনের মৃত্যু

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় মন্দির নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের কৃষ্ণভক্ত ও মতুয়াভক্তদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত একজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাংসু হাওলাদার ওরফে কালু (৩০) নামের একজন কৃষ্ণভক্ত মারা যান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গুলি আউলিয়াপুর গ্রামে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে একটি মন্দির রয়েছে। ওই মন্দির কৃষ্ণমন্দির হিসেবে পরিচিত। যা মানতে নারাজ মতুয়াভক্তরা। প্রায় এক বছর আগে মতুয়াভক্তরা ওই কৃষ্ণমন্দিরের পাশে আরেকটি মন্দির প্রতিষ্ঠিত করে পূজা-অর্চনা শুরু করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের ভক্তদের মধ্যে ক্ষোভ ও বিরোধ আরও চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। গত ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মতুয়াভক্ত কৃষ্ণা রানী মন্দিরে পূজা দিতে এলে কৃষ্ণভক্ত লক্ষ্মী রানীর সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন এসে সংঘর্ষে জড়ান। এতে দুই পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।

ওই সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৫ জানুয়ারি সকাল ৮টার দিকে আবার সংঘর্ষ হয়। দুই দফায় সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কৃষ্ণা রানী (৩৫), নিকট চন্দ্র হাওলাদার (১৭), বিভাস চন্দ্র হাওলাদার (৩০), ঝুমুর রানী (২৫), লক্ষ্মী রানী (৪০), সুবর্ণা রানী (১৫), অন্তরা রানী (১৫) ও চপলা রানীকে (২৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং গুরুতর আহত মন্টু হাওলাদার (৪০), সন্তোষ হাওলাদার (৪৫), সজল হাওলাদার (৩৫), দিবাংসু হাওলাদার (৩০), স্বপন হাওলাদার (৪৫) ও তপন হাওলাদারকে (৩৫) বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দিবাংসু হাওলাদারের অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ আব্দুল আলীম বলেন, ‌‘মন্দির নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই পক্ষের মধ্যে ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই সময় কৃষ্ণভক্তদের পক্ষ থেকে থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছিল। এখন ওই মামলাই হত্যা মামলায় রূপান্তিত হবে।’