গরুর বাছুর ছাড়াকে কেন্দ্র করে বরিশালের গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের সিংগা গ্রামে ছোট ভাইর ঘুষিতে বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন ফকির (৫৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ছোট ভাইর স্ত্রী সুমী আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে লাশ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়। রবিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত দেলোয়ার ও অভিযুক্ত তার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন ফকির ওই গ্রামের সোহরাব হোসেন ওরফে ছবর আলী ফকিরের ছেলে।
নিহতের ছেলে ফয়সাল ফকির বলেন, বসতবাড়ির জমি নিয়ে তার বাবার সঙ্গে ছোট চাচা জাহাঙ্গীর হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সন্ধ্যায় চাচা গরুর একটি বকনা বাছুর ছেড়ে দেয়। ওই বাছুর তাদের বাড়িতে এসে ফলজ গাছের চারা ভেঙে ফেলে। এ নিয়ে বাবা-মার সঙ্গে জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রীর বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে চাচা ও চাচি সুরমা এবং চাচাতো ভাই জাহিদ হোসেন বাবার গলা টিপে ধরে ও কিলঘুষি মারে। এতে তার বাবা গুরুতর আহত হয়ে একাধিকবার বমি করে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
গৌরনদী মডেল থানায় পরিদর্শক (তদন্ত) মাহাবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার সকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। সুরতহাল রিপোর্টে লাশের গলায় দুটি চিহ্ন পাওয়া গেছে। দেলোয়ার হৃদরোগে আক্রান্ত (হার্টের রোগী) ছিলেন। হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের ছোট ভাই জাহাঙ্গীরের স্ত্রী সুরমা বেগমকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর হোসেন ফকির বলেন, তার ভাই দেলোয়ার হোসেন ফকির ইতিপূর্বে একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ কারণে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার ওপর কেউ হামলা করেনি।