কর্মচারী হত্যার দায়ে দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন

যাবজ্জীবনচট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলায় দোকানের কর্মচারীকে হত্যার দায়ে ভাই ভাই ক্লথ স্টোরের মালিক রেজাউল কমির লিটন (৪২) ও তার বড় ভাই মফিজুল ইসলাম ফারুককে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় জননিরাপত্তা ট্রাইব্যুনালের বিশেষ জজ সৈয়দা হোসনে আরা এই রায় প্রদান করেন।
কর্মচারী হত্যা মামলার রায়ে রেজাউল ও ফারুকের আরেক ভাই আজাদুল আলম আজাদ ও দোকানের ম্যানেজার আবুল কালাম বেকসুর খালাস পেয়েছেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেজাউল করিম লিটন পলাতক, বাকিরা জেলহাজতে রয়েছেন। রায়ে আদালত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুইভাইকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় জননিরাপত্তা ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় লিটন ও ফারুকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে। বাকি দুই জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আজাদ ও কালামকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, সাতকানিয়া থানা এলাকার মাহবুবুর রহমানের ছেলে দিদারুর আলম ভাই ভাই স্টোরে কাজ করতেন। হত্যার পর ২০০৫ সালের ১ নভেম্বর রাতে সেহেরি খাওয়ার পর অতিরিক্ত বমিতে দোকানের ভেতর হাফেজ দিদারুল আলমের মৃত্যু হয় বলে প্রচার করেন তারা।

পরে দিদারের বাবা মাহবুবের সন্দেহ হলে তিনি সাতকানিয়া থানায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ময়নাতদন্তে দিদারের মাথায়, বুকে ও রগে আঘাতের তিনটি চিহ্ন পাওয়া যায়। তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ ২০০৯ সালের ২ জুন ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দেন। মামলাটি জননিরাপত্তা ট্রাইব্যুনালে আসার পর ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গ্রেফতার 

/এমও/আপ-এআর/