বাংলা ট্রিবিউনকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ‘পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ফরেনসিক বিভাগ বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে এ সংক্রান্ত মতামত জানিয়েছে। সোমবার প্রতিবেদনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের কাছে পৌঁছেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে রিপোর্ট এসেছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে- জব্দকৃত রসরাজ দাসের মোবাইল ফোন থেকে ছবিটি পোস্ট করার আলামত পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, সাইবার ক্যাফে থেকে যেসব যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়েছে, সেগুলো থেকেও ছবি পোস্টের আলামত মেলেনি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ছবি পোস্টের সময় রসরাজ মাছ ধরতে বিলে ছিলেন বলে লোকজন মারফত জানা গেছে। এটা প্রমাণ হলে বোঝা যাবে রসরাজ এর সঙ্গে জড়িত নন।’
তিনি বলেন, ‘আল-আমিন সাইবার ক্যাফে থেকে কিছু আলামত সরিয়ে নেওয়ায় সেখান থেকে ছবি পোস্ট দেওয়া হয়েছিল কিনা তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে যে সব আলামত সেখান থেকে জব্দ করা হয়েছে, তাতে ছবি পোস্ট দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’
এদিকে, নাসিরনগরে মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় লোকজন জড়ো করতে হরিপুর ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মো. বিল্লাল মিয়া দুটি ট্রাক ভাড়া করেছিলেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি নিজের একটি ট্রাক্টরে করে লোকজন আনেন। একই সঙ্গে তিনি ধর্ম অবমাননার প্রতিবাদে হওয়া সমাবেশেও অংশ নেন।
সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে এসব কথা স্বীকার করেছেন বিল্লাল মিয়া।
গত রবিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে জেলার আশুগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ধর্ম অবমাননাকর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার অভিযোগ গত ২৯ অক্টোবর পুলিশ নাসিরনগরের হরিপুর গ্রামের রসরাজ দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতারর করে। এই ছবি পোস্টকে কেন্দ্র করে ৩০ অক্টোবর নাসিরনগর সদরে মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়।
/এআর/