মুক্তিযোদ্ধাকে কটাক্ষ করে সমালোচনার মুখে চবি ভিসি

চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীপ্রবীণ শিক্ষাবিদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক অধ্যাপক ড. গাজী সালেহ উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ করেছেন কিনা এ বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করে এক সভায় মন্তব্য করায় নানা মহলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সাবেক উপাচার্য ড. আবু ইউসুফ আলমের নাগরিক স্মরণসভায় আলোচনার শুরুতেই ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন,  বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক টাকা  দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট নিয়েছেন। যুদ্ধ করে সাটিফিকেট নেননি এমন মুক্তিযোদ্ধা সংখ্যাও আছে অনেক।’
এ সময় মঞ্চে বসা চবির সাবেক ডিন ড. গাজী সালাউদ্দিনকে দেখিয়ে, তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি না সন্দেহের এমন কথা জানান ড. ইফতেখার।
উপাচার্যের ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা বিশিষ্ট মহলে ওঠে সমালোচনার ঝড়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অধ্যাপক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ড. গাজী সালেহ উদ্দিন মুক্তিযোদ্ধা কিনা এমন প্রশ্ন ওঠায় আমি বিব্রত। এটা আমাদের ইতিহাসকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো ছাড়া আর কিছু নয়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আরও অনেক সাবেক শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা।
অধ্যাপক ড. গাজী সালেহ উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তিনি কী উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেছেন সেটা তাকে জিজ্ঞেস করা উচিত। আমি এ ব্যাপারে আপাতত কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’

এ বিষয়ে জানতে চাওয়ার উদ্দেশ্যে চবি উপাচার্য প্রফেসর ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ না করায় তার ভাষ্য জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, গাজী মেজবাহ উদ্দিন, গাজী সালেহ উদ্দিনসহ তিন ছেলে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ায় একাত্তরের ১০ নভেম্বর পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে পাঞ্জাবি কলোনির রেলওয়ে কর্মকর্তা বাবা আলী করিমকে জবাই করে হত্যা করা হয়। শহীদ আলী করিম একাত্তরে চট্টগ্রামে বাঙালি-বিহারী দাঙ্গা দমনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন।

/এইচকে/