আরমান শেখ নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এনামুল হকের ছেলে।
তিনি আরও বলেন, ‘আরমানের ভগ্নিপতি সাহেদ কামাল সুজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ভগ্নিপতি শাহেদের কাছ থেকে বিষয়টি পরিবারের লোকজন নিশ্চিত হয়।’
নিহত আরমান শেখের খালাতো ভাই ফয়সল জানান, প্রায় ২৫ লাখ টাকা খরচ করে আরমানকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার দালাল আমিন উল্যা আরমানসহ চারজনকে প্রায় ৬ মাস আগে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে ওমানে নেয়। সেখান থেকে তাদেরকে আফ্রিকায় নেওয়া হয়। পরে তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার জন্য বিমানের টিকিট কাটানো হয়। কিন্তু সেখানকার বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে ফেরত পাঠায় আফ্রিকায়। সেখান থেকে আফ্রিকার ইথিওপিয়া, আফিছাওয়া, বুঝামবুড়া, বলিভিয়া, কলম্বিয়া, ব্রাজিল ও মেক্সিকো নিয়ে যাওয়া হয়।
ফয়সল আরও জানান, আরমানের সঙ্গে সর্বশেষ গত ২৭ জানুয়ারি তার কথা হয়। এ সময় আরমান তাকে জানায়, ‘ভাইয়া মেক্সিকোর একটি নদীর পাড়ে আছি। কিছুক্ষণের মধ্যে নদী পাড়ি দেবো। আমার সঙ্গে আরও ৪ জন আছে। নদী পাড়ি দেওয়ার পর পুলিশের হাতে ধরা পড়লে কয়েকদিন জেলে থাকতে হবে। ১০-১২ দিন পর আবার ফোন দেবো।’ এরপরে আর যোগাযোগ হয়নি।
নিহত আরমান শেখের অপর তিন সফর সঙ্গীর মধ্যে বাবলু এবং তার ভগ্নিপতি সুজন মোবাইলে জানায়, চারজনের মধ্যে তারা তিনজন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পেরেছে। কিন্তু প্রবল স্রোতের তোড়ে আরমান পানামায় হারিয়ে গেছে। পরবর্তীতে ওই দেশের পুলিশ আরমানের মরদেহ উদ্ধার করে। বর্তমানে নিহত আরমানের লাশ যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ইমেগ্রেশনে রয়েছে। রবিবার বিকালে আরমানের সফর সঙ্গী বাবুল ও তার ভগ্নিপতি সুজনের ফোন পেয়ে খালাত ভাই ফয়সল তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
/এসএনএইচ/এআর/