লক্ষ্মীপুরের টুমচরে ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ২০

লক্ষ্মীপুরলক্ষ্মীপুরের টুমচরে সুরেশ্বর অনুসারী, গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিন গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হন। আহত হয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ৮ পুলিশ সদস্য। আহতের সংখ্যা অন্তত ২০ জন। তারা লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে এখন চিকিৎসাধীন আছেন।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সুরেশ্বর অনুসারীদের ওরস পালনে গ্রামবাসীদের বাধা ও ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৮০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের হায়দার আলী মুন্সীর বাড়িতে শরীয়তপুরের সুরেশ্বর দরবারের খলিফা ফোরকানের আয়োজনে প্রতি বছর তিন দিনের ওরস পালন করে থাকে অনুসারীরা। কিন্তু ওরস পালনের নামে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে স্থানীয়রা এবার সুরেশ্বর অনুসারীদের বাধা দেয়।
শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে গ্রামবাসী মিছিল নিয়ে ওই বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় বিভিন্ন আসবাবপত্র ও আস্তানা ভেঙে দেয় তারা। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের মারধর করে তাদের গাড়িও ভাঙচুর করে স্থানীয়রা। পরে সদর থানার ওসিসহ অতিরিক্ত পুলিশ এসে গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন রাকিব হোসেন, ইউছুফ ও রাহিদ আল জিহাদ নামের তিনজন। আহতদের মধ্যে আরও আছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য শাহজাহান, ফরিদসহ ২০ জন। ঘটনাস্থলে র‌্যাব-১১সহ বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার আ স ম মাহতাব উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সুরেশ্বর অনুসারীরা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই তাদের কার্যক্রম চালিয়েছে। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা চালায়। ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
/জেএইচ/আপ-এমডিপি/