বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইমুল চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেশন আইন ২০০১- এর ৬৬(২)/৭৪ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
সিইও ছাড়া অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, গ্রামীণফোনের সাবেক সিইও টরি জনসন, প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা ও পরিচালক শরীফ আহমেদ, স্পেশালিস্ট টেকনিক্যাল বিভাগের আহমেদ মঞ্জুর দৌলা, চেয়ারম্যান অর্থ তহবিল-ট্রাস্টি বোর্ড কাজী মোহাম্মদ সাহেদ, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মাইনুর রহমান ভুঁইয়া, মইনুল কাদের, মনজ উদ দোহা ও হেড অব এক্সটার্নাল কমুনিকেশন সৈয়দ তালাত কামাল।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮ টায় বাদী গ্রামীণফোনের জিপি-টু-জিপি মিনিট ২৫ পয়সার একটি প্যাকেজ কেনেন। পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তিনি অফারটি সম্পর্কে জানতে পারেন। অফারটি কেনার সময় অপারেটর করসহ ১১টাকা ৫০ পয়সা কেটে নেয়। একটি ক্ষুদে বার্তায় এ কর্তনের বিষয়টি জানায় কোম্পানি। কিন্তু আধা ঘণ্টা পর অপারেটর তার কেনা অফারটি বাতিল করে। এর ফলে তিনি পুরো টকটাইম ব্যবহার করতে পারেননি। যদিও অফারটির মেয়াদ দুই দিন ছিল।
এরপর ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বাদী অপারেটরের হেল্প লাইনে ফোন করলে কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, এ বিষয়ে তার কিছুই করার নেই।
অ্যাডভোকেট এসকে ইফতিখার শিমুল চৌধুরী জানান, ‘এ বিষয়ে ২০১২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বাদী মহানগর হাকিম মুনতাসির আহমেদের আদালতে অভিযোগ করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেশন অথরিটি (বিটিআরসি)-এর বক্তব্যসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ারও আদেশ দেন আদালত।’ তিনি শিমুল বলেন, ‘টক-টাইমের অর্থ রিচার্জ করা ও কৌশলে ফ্রি-টক টাইমে ফাঁকি দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয় বিটিআরসির বিবৃতিতে।’ তিনি আরও জানান, ‘এরপর অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আরও প্রমাণাদি সংগ্রহ করে নতুন মামলা দায়ের করা হয়।’
/এএ/এমএনএইচ/