হরতালের সমর্থনে সকাল থেকেই রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পিকেটিং করছে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পিকেটিং করতে দেখা গেছে বাঙালি সংগঠনের নেতাকর্মীদের।
হরতালের কারণে রাঙামাটি শহরের অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ আছে। রাঙামাটি জেলা শহর ছাড়াও লংগদু, বাঘাইছড়ি, কাউখালী উপজেলা থেকেও শান্তিপূর্ণ হরতাল পালিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তবে ইউপিডিএফ-এর সমন্বয়ক মাইকেল চাকমা বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘ইউপিডিএফকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে পরিচিত করার জন্য একটি বিশেষ মহল বাঙালি ছাত্র পরিষদকে ব্যবহার করছে। তাদেরকে তোতাপাখির মতো কথা শিখিয়ে মাঠে নামিয়েছে। আর এই সংগঠনগুলো একটি বিশেষ মহলের পরিচালিত।’
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে শহরে হরতাল চলছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
এদিকে, হরতাল চলাকালে সকাল সোয়া ৭টার দিকে খাগড়াছড়ি উন্নয়ন বোর্ড সড়কের সামনে পিকেটাররা একটি ট্রাক ভাঙচুর করলে পুলিশ পিকেটারদের ধাওয়া ধরে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। হরতালের কারণে সব দোকাপাট ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় পুলিশ রয়েছে সতর্ক অবস্থানে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক ছাদিকুল ইসলামকে (২৩) ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক গোষ্ঠীর দুইজন খাগড়াছড়ির মহালছড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে রাঙামাটির ঘিলাছড়ির উদ্দেশ্যে ভাড়া করে নিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ হন ছাদিকুল ইসলাম। তিনদিন পর ১৩ এপ্রিল বিকালে রাঙামাটির নানিয়াচর উপজেলার ঘিলাছড়ি এলাকায় ছাদিকুল ইসলামের ক্ষতবিক্ষত লাশ মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়।
/বিএল/