‘জঙ্গিবাদ নির্মূলে বিশ্বকে একযোগে কাজ করার আহ্বান’

বিশ্ব পর্যটন সংস্থার জেনারেল সেক্রেটারি তালেব রেফাই (ফাইল ছবি)জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদকে বৈশ্বিক সংকট আখ্যা দিয়ে এটিকে নির্মূলে বিশ্বকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার জেনারেল সেক্রেটারি তালেব রেফাই।

বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর অভিজাত হোটেল র‌্যাডিসন ব্লুতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। ইউএনডব্লিউটিও’ এর ২৯ তম এশিয়া ও প্যাসিফিক সম্মেলনের সমাপ্তি উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তালেব রেফাই বলেন, ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটি বৈশ্বিক সংকট। কোনও দেশই জঙ্গিবাদ থেকে শতভাগ নিরাপদ নয়। জঙ্গিদের ভ্রমণ বন্ধ করতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘পর্যটন একটা সমাধান যার মাধ্যমে এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।’

তালেব রেফাই বলেন,‘পর্যটনের জন্য নিরাপত্তা, ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ধারণক্ষমতা বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পারস্পরিক সম্মানবোধ খুব প্রয়োজন। ট্যুরিস্ট ও হোস্ট উভয়ের প্রতি সম্মানবোধ থাকলে পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা অনেক বেশি।এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’

উন্নয়নশীল দেশে সংগঠিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য উন্নত দেশগুলো যেন তাদের নাগরিকদের ওই দেশে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা না দেন সেজন্য উন্নত বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান বিশ্ব পর্যটন সংস্থার জেনারেল সেক্রেটারি।

সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যটন বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারুক খান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘ইউএনডব্লিউটিও’র এই সম্মেলনে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের পর্যটনের প্রবণতা, পর্যটনের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেছি। বাংলাদেশের পর্যটন নিয়ে কথা হয়েছে। সম্মেলনে ২৫টি দেশের ৮০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।’

তিনি সুন্দরভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী বছর ফিজিতে এ সম্মেলনের ৩০ তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তবে ২০১৯ সালে আবারও এশিয়ায় হবে। ওই বছর ভারতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

/বিএল/