রমেল চাকমার মৃত্যু: তদন্ত কমিটির সময় বাড়লো

রমেল চাকমাইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) নানিয়ারচর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রমেল চাকমার মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠিত কমিটির সময় বৃদ্ধির আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য তাদের আরও ১৫ কার্যদিবস পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। আগামী ১১ জুনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে কমিটিকে জানানো হয়েছে।

এদিকে আগামী ২৩ মে থেকে ফের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বাঞ্ছিতা চাকমা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জেলা প্রশাসন থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপস শীল’কে প্রতিনিধি হিসেবে কমিটিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা আগামী মঙ্গলবার (২৩ মে) চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে যাবো। আর বুধবার (২৪ মে) নানিয়রচরের পুলিশ, আর্মি ক্যাম্প, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স ও বাজারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলবো। এরপর আশা করছি ফাইনাল রিপোর্ট কমিশনে জমা দিতে পারবো।’

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রমেল চাকমার মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ও রাঙামাটি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বাঞ্ছিতা চাকমাকে আহ্বায়ক, কমিশনের রাঙামাটি অফিসের উপ-পরিচালক গাজী মো. সালাউদ্দিনকে সদস্য সচিব ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অলিউজ্জামানকে সদস্য করা হয়। রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অলিউজ্জামান বদলিজনিত কারণে চলে যাওয়ায় নতুন সদস্য হিসেবে জেলা প্রশাসন থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপস শীলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি গত ১ মে নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের হাতিমারা এলাকায় রমেলের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, নানিয়ারচর উপজেলায় দুইটি ট্রাকে আগুন দেওয়ার ঘটনায় গত ৫ এপ্রিল নানিয়ারচর বাজার থেকে রমেল চাকমাকে আটক করে সেনাবাহিনী। একদিন পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় রমেল চাকমা বুকে ব্যথা অনুভবের কথা জানালে ৬ এপ্রিল তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ এপ্রিল মারা যান তিনি। সেনাবাহিনীর নির্যাতনে রমেলের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করে পিসিপি। তবে সেনাবাহিনী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

/এফএস/ 

আরও পড়ুন-
দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলা: তদন্তে ফাঁক রাখতে চায় না পুলিশ