ঘূর্ণিঝড় মোরা: কক্সবাজারে ২ লাখ লোককে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত

seaঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবেলায় জরুরি প্রস্তুতি সভা করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। সভায় উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক মাইকিং করে অন্তত ২ লাখ লোককে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

আজ  সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনের সভাপতিত্বে সেখানে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফায়ার সার্ভিস, আবহাওয়াবিদ, বিভিন্ন এনজিও কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ৫৩৮টি সাইক্লোন শেল্টার, ৮৮টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাদের জন্য শুকনা খাবারের পাশাপাশি খিচুড়ির ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত হয়। ঘূর্ণিঝড় মোরা মোকাবেলায় ইতিমধ্যেই স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কুতুবদিয়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন, মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি, ধলঘাটা, পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া, মগনামা ও রাজাখালী, চকরিয়া উপজেলার বদরখালী, উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং, কক্সবাজার সদর উপজেলার ফদনার ডেইল, সমিতি পাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া, টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন, বাহারছড়া, সাবরাং ইউনিয়নের প্রায় দুই লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আরও  উত্তর দিকে সরে কক্সবাজারের উপকূল থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়া পায়রা ও মংলা সমুদ্র বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে।

ঘূর্ণিঝড় মোরা আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার ভোরে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় ঘণ্টায় ৭০-৯০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্র বন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে৷ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। আজ  সোমবার সকাল থেকে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘলা রয়েছে। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলো ফিরে আসছে।

/বিএল/