লংগদুতে অগ্নিসংযোগ: ৩ দিনের রিমান্ড শেষে ৭ জন জেল হাজতে

লংগদুতে পাহাড়িদের বাড়িঘরে আগুন

রাঙামাটির লংগদুতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গ্রেফতার সাত জনকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার সাত আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে রাঙামাটি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহসেন আলী তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর রঞ্জন সামন্ত।

আসামিরা হলেন- সাইফুল, শাহ আলম, মো. শহীদ, আবুল কালাম, শরিফুল, শরিফ ও মো. মোস্তফা। গত ৭ জুন তাদের বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে রাঙামাটি চিফ জুডিশিয়াল আদালত।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১ জুন) লংগদু উপজেলার সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মোটরসাইলেক চালক নুরুল ইসলাম নয়নের লাশ দীঘিনালার চারমাইল এলাকায় পাওয়া যায়। স্থানীয় বাঙালিরা এই ঘটনার জন্য পাহাড়ের আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে দায়ী করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার (২জুন) সকালে লংগদুবাসীর ব্যানারে নয়নের লাশ নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা সদরে আসার পথে পাহাড়িদের বাড়িঘরে আগুন দেয়। এসময় শতাধিক বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়।

এদিকে,  শুক্রবার (৯ জুন) খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হলে তারা নয়ন হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে বলে জানায় পুলিশ। নয়নের মোটরসাইকেলটিও দীঘিনালার মাইনী নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত দুই ব্যক্তি রমেল চাকমা ও জুনেল চাকমা পুলিশকে জানিয়েছে, মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের জন্যই তারা নয়নকে হত্যা করেছে। নয়ন হত্যাকাণ্ডে পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মোটরসাইকেলটি কোথাও নিয়ে যেতে পারেনি হত্যাকারীরা। পরে সেটি বিক্রি করতে না পেরে তা মাইনী নদীতে ফেলে দেয় তারা।

/জেবি/

আরও পড়তে পারেন: নিলামে তোলা হচ্ছে ২৮৪টি গাড়ি