ঈদে আগে বাড়ি ফেরা নিয়ে একই ধরনের মত দিয়েছেন চা বোর্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান। ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাজিবও ওই বাসস্টেশনে বাসের অপেক্ষায় ছিলেন। মুন্সীগঞ্জের এই মানুষটি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঈদ যতই ঘনিয়ে আসে ততই সড়কে যানবাহন বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বাড়ে যাত্রীদের ভোগান্তিও। তাই আজ অফিস শেষেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছি। সেখানে গিয়ে কিছু কেনাকাটা করবো, তারপর বাড়িতে যাবো।’
শুধু আবুল হাসনাত আর রাজিবুল হাসান নন, যাত্রাপথের ঝামেলা এড়াতে অনেকেই ঈদের ছুটি শুরুর আগেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার কার্যদিবস শেষ করেই অনেকে ছুটছেন গ্রামের পানে। সারাবছর যে যেখানেই থাকুন না কেন, ঈদ উপলক্ষে বছরে দু’বার বাড়ি ছুটে যান নগরবাসী। একঘেঁয়ে জীবনকে কয়েকদিনের জন্য ছুটি জানান তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়— নগরীর বহদ্দারহাট, দামপাড়া, বিআরটিসি, এ কে খান মোড় ও অলংকার মোড় বাস টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। কেউ সপরিবারে, আবার কেউ বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন।
অন্যদিকে ঈদ উপলক্ষে ট্রেনে বাড়িফেরা শুরু হয়েছে বুধবার (২১ জুন) থেকে। প্রথম দিন শুধু ট্রেনের টিকেট কাটা যাত্রীরা যাতায়াত করেছে। ওইদিন ট্রেনে তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। তবে বৃহস্পতিবার ছিল প্রচুর ভিড়। এদিন আসনের বাইরেও অনেককে দাঁড়িয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে দেখা যায়। অনেকে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে বসে রওনা দিয়েছেন।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বুধবার ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় কম হলেও বৃহস্পতিবার যাত্রীদের প্রচন্ড ভিড় ছিল। সময়মতো সব ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীরা যেন ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন মাধ্যমে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য আমাদের কয়েকটি টিম স্টেশনে কাজ করছে।’
ছবি: রবিন চৌধুরী
/জেএইচ/