পার্বত্য রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের ঘটনায় পুরো পার্বত্য অঞ্চলে চলছে আতঙ্ক। বুধবার (২১ জুন) বিকাল থেকে রাঙামাটির সীমিত পরিসরে হালকা যান চলাচল শুরু হলেও পর্যটকদের ভীতি এখনও রয়েই গেছে। আসন্ন ঈদ ও ঈদ-পরবর্তী ভ্রমণ মৌসুমে বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে যারা আগাম বুকিং দিয়েছেন, তা বাতিল করছেন। আবার যোগাযোগের ব্যবস্থা কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ঈদকে সামনে রেখে কেউ কেউ বুকিংও দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পর্যটন কমপ্লেক্স পরিচালিত ‘পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স’ এর ম্যানেজার অলক বিকাশ চাকমা।
পর্যটন ঘাটের বোর্ড মালিক আব্দুর সবুর বলেন, ‘প্রাকৃতিক বিপর্যয়, পাহাড় ধস ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হওয়ায় কয়েক সপ্তাহ হলো রাঙমাটিতে কোনও পর্যটক আসেনি। ঈদকে সামনে রেখে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রাস্তা খোলা থাকায় এখন রাঙামাটির সঙ্গে যোগাযোগ চালু হয়েছে। আশা করছি পর্যটকের ঢল নামবে।’
পর্যটনে টিকিট কাউন্টারের ম্যানেজার হিরা রানী মল্লিক বলেন, ‘আমরাও আশা করে বসে থাকি ঈদ মৌসুমের জন্য। এবার ঈদের আগে পাহাড় ধসের কারণে কিছুটা কম হওয়ার আশঙ্কা করছি। তারপরও আশা রাখছি যেহেতু রাস্তা চালু হয়েছে তাই পর্যটক আসবে।’
রাঙামাটি হোটেল মালিক সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আসাদ বলেন, ‘প্রাকৃতিক বিপর্যয়, পাহাড় ধস ও যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে কিছু বুকিং আমাদের বাতিল হয়েছিল। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির কারণে সেগুলো আবার বুকিং শুরু হয়েছে। আবার কেউ কেউ আশ্রয় কেন্দ্রের মানুষের জন্য ত্রাণ নিয়ে আসার কথা জানিয়েছেন। ঈদের ছুটিতে তারা রাঙমাটি ঘুরে ও এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজটি করতে চান অনেকেই। আশা করছি পর্যটক মুখর হবে রাঙামাটি।’
বাংলাদেশ পর্যটন কমপ্লেক্স পরিচালিত ‘পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স’ এর ম্যানেজার অলক বিকাশ চাকমা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের শতকরা ৭০ ভাগ বুকিং রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় কিছু বুকিং বাতিল হয়েছিল। এখন আবার বুকিং শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি ঈদে আমাদের টার্গেট পূরণ হবে।’
/এআর/