কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহ জাহান চৌধুরী বলেন,‘ওই দিন প্রশাসনের বাধা পেয়ে ত্রাণগুলো জেলা বিএনপির কার্যালয়ে জমা করে রাখা হয়েছে। এখন কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুমতি পেলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব দলের জন্য ত্রাণ বিতরণে বাধা নেই। শুধু বিএনপিকেই সব নিয়মনীতি মেনে চলতে হচ্ছে!’
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতার পর থেকে যেসব রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছে সব রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিয়ে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে এগিয়ে এসেছেন। কিন্তু এরা প্রত্যেকেই জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ত্রাণ বিতরণ করছে। কারণ তাদের স্ব-উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ করতে গেলেই রোহিঙ্গারা হুমড়ি খেয়ে পড়ে এবং বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টি হয়। এ কারণে বিএনপিকে বলা হয়েছে, প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে ত্রাণগুলো বিতরণ করার জন্য। কিন্তু বিএনপি তাদের ত্রাণ নিজেরাই দিতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, তুরুস্কের ফার্স্টলেডি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদসহ যারা ত্রাণ বিতরণ করেছেন এরা প্রত্যেকেই কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে সব ত্রাণ জেলা প্রশাসনকে বুঝিয়ে দিয়েছেন এবং সেভাবেই প্রশাসন ত্রাণগুলো বিতরণ করছেন। এছাড়াও একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ত্রাণ বিতরণের নিয়ম রয়েছে। ওই জায়গায় ত্রাণ বিতরণ করা না হলে আমরা কাউকে ত্রাণ দিতে দেই না। এজন্য বিএনপিকে কিছু ত্রাণ রোহিঙ্গাদের মাঝে বিতরণ করার পর জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু, বিএনপি তা মানতে রাজি নয়।’
গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর্জা আব্বাসের নেতৃত্বে এবং বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে নিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য ২২টি ট্রাকে ত্রাণ নিয়ে আসেন কক্সবাজারে। কিন্তু প্রশাসনের বাধার মুখে এসব ত্রাণ বিএনপির জেলা কার্যালয়ে জমা করে কক্সবাজার ছাড়েন কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন-
রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণবাহী ২২টি ট্রাকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ বিএনপির
দ্বিতীয় দিনেও পুলিশের বাধা, রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিতে পারেনি বিএনপি